আদালত প্রতিবেদক : ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষাথী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির দুই শিক্ষিকা ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন, সিনিয়র শিক্ষিকা লুৎফুন নাহার করিম এবং প্রভাতী শাখার খণ্ডকালীন শিক্ষিকা আফসানা আমাতু রাব্বী। সাক্ষ্যে তারা দুজনই দাবি করেছেন, তারা অরিত্রীর সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেননি।
আজ সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম তাদের সাক্ষ্যগ্রহণের পর আগামী ১৭ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় দুই আসামি শিক্ষিকা নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার আদালতে হাজির ছিলেন। তারা জামিনে রয়েছেন।
সাক্ষ্যে লুৎফুন নাহার করিম বলেন, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি এবং আফসানা আমাতু রাব্বী ১২৮ নম্বর শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষার ডিউটিতে ছিলেন। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার কেন্দ্রে কোনোরকম ডিভাইস বা মোবাইল আনা নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও অরিত্রী মোবাইল নিয়ে আসে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনুমানিক ১০ মিনিট আগে নকল করা অবস্থায় তারা অরিত্রীর কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার করেন। মোবাইলে বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস ডাউনলোড করা ছিল। বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল পাওয়ায় তারা পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষক জাহানারা শিরিনের কাছে উত্তরপত্র ও ডিভাইস জমা দিয়ে আবার পরীক্ষার হলের ডিউটিতে চলে যান। পরীক্ষা শেষে অরিত্রী মোবাইল চায়নি। ওর সঙ্গে কোনোরকম অশোভন আচরণ করা হয়নি। অরিত্রী শান্ত ছিল। তারপর তারা খাতা ও প্রশ্ন জমা দিয়ে বাসায় চলে যান।
আফসানা আমাতু রাব্বী বলেন, তিনি এবং লুৎফুন নাহার করিম ওই রুমে পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে তারা অরিত্রীকে মোবাইল দেখে উত্তর করার সময় তার কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার করেন। মোবাইলে বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস ডাউনলোড করা ছিল। তারা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী শিক্ষিকার কাছে অরিত্রীর মোবাইল ও উত্তরপত্র জমা দেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই অরিত্রী হল থেকে চলে যায়।
মামলাটিতে এ নিয়ে অরিত্রির মা-বাবাসহ আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন হাওলাদার।২০১৯ সালের ১০ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। একই বছর ২৫ মার্চ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার চার্জশিট দেন।
Comment here