প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহর স্মরণে শোকসভায় বক্তব্যের শুরুতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি বলেন, ‘মাহফুজউল্লাহর সঙ্গে আমার এত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল যে, তিনি আমার পাশে থাকবেন না তা কখনও ভাবিনি।’
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ স্মরণে এক নাগরিক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রহীন, অধিকারবিহীন রাষ্ট্রে মাহফুজউল্লাহ সত্য কথা বলার মধ্য দিয়ে আমাদের জাগিয়ে তুলেছেন। আমাদের জেগে উঠতে হবে। আসুন আমরা তার চিন্তা বাস্তবায়নে অবদান রাখি।’
ফখরুল বলেন, ‘যে দেশে গণতন্ত্র নেই সে দেশে মুক্তিবুদ্ধি চর্চা ও লেখা কঠিন। কিন্তু মাহফুজউল্লাহ তা পেরেছেন। যে সমাজে কথা বলা দুঃসহ। সেখানে তিনি কথা বলেছেন, লিখে গেছেন। হুমকি-ধামকির মুখেও তিনি লিখে গেছেন। আমৃত্যু্ তিনি সংগ্রাম করে গেছেন।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে বই লিখেছেন মাহফুজউল্লাহ। এমন সময় লিখেছেন, যে সময় বুদ্ধিজীবীরা এই দুই নেতার ব্যাপারে মুখ খুলতে চান না। তিনি চাইলে বড় একজন রাজনীতিক হতে পারতেন। কিন্তু তা না করে সাংবাদিক হিসেবে রাজনীতিকে তিনি দেখেছেন।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খানের সভাপতিত্বে শোকসভায় আরও বক্তব্য দেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক কূটনীতিক শমসের মুবিন চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. সাদাত হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবির প্রমুখ।
Comment here