নিজস্ব প্রতিবেদক : চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার সকালে এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি জানান, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় বিরাজমান রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
শাহীনুল ইসলাম জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আজ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ ছাড়া শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ। তিনি বলেন, আজ সকালে ঢাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার।
এদিকে বেলা বেড়ে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে কয়েকগুণ। রোদের প্রখরতা না থাকায় হিম বাতাসে কাবু হচ্ছে জনজীবন। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।
তীব্র শীতে হাসপাতালগুলোতে শিশু ও ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৫০-৬০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে।
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, গত তিন দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সামনে একাধিক শৈতপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে।
Comment here