চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে হঠাৎ বৈঠক করলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে এ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ওবায়দুল কাদের।
সংবাদ সম্মেলন শেষে নিজ দপ্তরকক্ষে যান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। সোয়া ১টার দিকে তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করার পর দেড়টার দিকে সেখানে যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা। বৈঠকে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াও অংশ নেন।
জানা গেছে, বৈঠকে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ, আইনি দিক ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হতে পারে।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার কোটা বাতিলের বিরুদ্ধে আন্তরিক বলেই উচ্চ আদালতে আপিল করেছে। আদালতের চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা পরিহার করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘কোটা বাতিলের নামে যে আন্দোলন হচ্ছে তাতে কোন ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শিক্ষকদের পেনশন স্কিম নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি থাকতে পারে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাস্তবতার আলোকে। শিক্ষক না আমলা কে সুপিরিয়র সে বিতর্কে সরকার যাবে না।’
বৈঠকে অংশ নেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
সরকার ২০১৮ সালে পরিপত্র জারি করে কোটা বাতিল করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত জুনে ৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আদালতে গেলে কোটা পুর্নবহাল করেন আদালত। এটা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত মানুষের ভোগান্তি করে রাস্তাঘাট বন্ধ করার পথ পরিহার করা উচিত। আশা করি, দেশের বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে রায় দেবেন আদালত।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এর আগেও যে কোটা আন্দোলন হয়েছিল, সেখানে ৩১ জন নেতা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও সমমনারা কোটা আন্দোলনে প্রকাশ্যে ভর করেছে। এর রাজনৈতিক রং বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না তা আন্দোলনের গতিধারায় সময় বলে দেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুরসহ আরও অনেকে।
Comment here