জেডিসি পরীক্ষার্থীকে আটকে রেখে ‘ধর্ষণ’, দেওয়া হলো না পরীক্ষা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ক্রাইম

জেডিসি পরীক্ষার্থীকে আটকে রেখে ‘ধর্ষণ’, দেওয়া হলো না পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এর এক পরীক্ষার্থীকে (১৪) অপহরণ করে আটকে রেখে টানা তিন সপ্তাহ ধরে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের ফলে অসুস্থ হয়ে যাওয়া ওই কিশোরী অংশ নিতে পারেননি জেডিসি পরীক্ষায়।

গতকাল শুক্রবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে পাগলা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর উস্থি ইউনিয়নের দাইরগাঁও বিপ্লব (৩৫), পাশের কলুরগাঁও গ্রামের শারফুল (২৬) এবং ওয়াসির খান (২৮) ওই ছাত্রীকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে। পরে অপহরণকারীরা ওই কিশোরীকে ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্নস্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ কের। ads

এদিকে মেয়েকে না পেয়ে তার বাবা পাগলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।  অপহরণ হওয়ার ২৫ দিন পর গতকাল শুক্রবার ভোরে ওই কিশোরীকে দাইরগাঁও মাদ্রাসার সামনের রাস্তায় অচেতন অবস্থায় ফেলে যায় অপহরণকারীরা। শুক্রবার ভোরে স্থানীয়রা ওই কিশোরীকে পরে থাকতে দেখে তার পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন এসে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়।

আজ শনিবার ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমি দিনমজুর মানুষ। আমার তো কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই। তাহলে ওরা কেন আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করেছে। আমি এদের কঠিন বিচাই চাই।’

তিনি বলেন, ‘মেয়েটার আজ শনিবার থেকে পরীক্ষা (জেডিসি) দেওয়ার কথা ছিল। মেয়ে অসুস্থ থাকায় আর পরীক্ষা দিতে পারেনি। মেয়েকে নিয়ে বর্তমানে ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি আছি। আজ ডাক্তারি পরীক্ষা হইছে। এখনও রিপোর্ট দেয় নাই।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তোতা বলেন, ‘এটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার।’

পাগলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ‘শনিবার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Comment here