নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। লিমু আক্তার লামিয়া (১০) নামে ওই শিশুকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হত্যার পর দেহ পানিতে চুবিয়ে তার ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন খুনি। স্থানীয়রা পরে লাশ উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের নাম সুমন মিয়া (২৭) ও মিলি বেগম (২০)। তারা দুজন স্বামী-স্ত্রী। উপজেলার সুত্রাপুর এলাকায় লিমু আক্তার লামিয়াদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তারা। সুমনের বাবার নাম বিল্লাল হোসেন (মৃত)। তিনি বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ি উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
লামিয়া স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার বাবার নাম সাহেব আলী। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ নিহত লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, তিন মাস আগে সুমন ও তার স্ত্রী মিলি সাহেব আলীর বাসায় রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। কয়েকদিন ধরে বাসা ভাড়ার ৫ হাজার টাকা বকেয়া ছিল তাদের। এ নিয়ে লামিয়ার পরিবারের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন ও তার স্ত্রী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে লামিয়াকে গলা কেটে হত্যার পর পাশের খালের পানিতে ফেলে রাখেন।
এদিকে, পরিবারের লোকজন লামিয়ার নিখোঁজের বিষয়টি কালিয়াকৈর থানায় জানিয়ে বাড়ির আশপাশে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এ সময় সুমন পানির নিচে থাকা লামিয়ার লাশের ওপর দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দিকে খোঁজার পরামর্শ দেন। পরে সন্দেহ হলে সুমনের কাছে গিয়ে তার পায়ের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। পরে সুমনকে আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন সুমন।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যার কারণ জানতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
Comment here