গাজায় প্রতি ১৫ মিনিটে প্রাণ হারাচ্ছে এক শিশু - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
আন্তর্জাতিক

গাজায় প্রতি ১৫ মিনিটে প্রাণ হারাচ্ছে এক শিশু

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অনবরত বিমান হামলার্য় প্রতিদিনই ১০০ শিশু প্রাণ হারাচ্ছে, গড়ে প্রতি ১৫ মিনিটে মৃত্যু হচ্ছে একজন শিশুর। ফিলিস্তিনের একটি অলাভজনক সংস্থার বরাত দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

গত ৭ অক্টোবর শনিবার ইসরায়েল ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামাসের হামলার জবাবে পাল্টা রকেট ও বোমা হামলা করে ইসরায়েলের বাহিনী। গাজা উপত্যকার নাগরিকরা আতঙ্কে ঘর ছাড়তে শুরু করেন। এরই মধ্যে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎসহ খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল-প্যালেস্টাইন (ডিসিআইপি) এর একজন মুখপাত্র জানান, এখানে গণহত্যা চলছে। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত ১৪০০ ইসরায়েলির মধ্যে ১৪ জন শিশু ছিল। কিন্তু অবরুদ্ধ গাজার চিত্র আরও ভয়াবহ।

আন্তর্জাতিক আইন ও সনদ, বিশেষ করে জেনেভা সনদ অনুযায়ী, সশস্ত্র সংঘাতে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি এবং তাদের অবশ্যই মানবিকভাবে খেয়াল রাখতে হবে। ইসরায়েল ১৯৫১ সাল থেকে এই সনদ মেনে চলে।

তবে চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন মানে না ইসরায়েল। যেখানে অবরুদ্ধ এলাকায় বেসামরিকদের সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল গাজাকে অবরুদ্ধ বিবেচনা করে না। তাদের দাবি, হামাসের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই শিশু ও বেসামরিকের মৃত্যু যুদ্ধাপরাধ নয়।

সংগঠনটি জানায়, প্রতিদিনই গাজায় প্রাণ হারাচ্ছে শিশুরা। যারা বেঁচে যাচ্ছে, তারাও শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে।ফিলিস্তিনি মনোবিজ্ঞানী ড. ইমাম ফারাজাল্লাহর করা এক গবেষণায় দেখা গেচ্ছে গাজা উপত্যকার ৯৫ শতাংশ শিশু যুদ্ধে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এ ছাড়া যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন বেসামরিকরা। জাতিসংঘ জানিয়েছে, স্কুলসহ অন্যান্য কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৪ লাখ বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনি।

Comment here