গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সানজিদা আক্তার (২০) নামের এক অন্তসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সানজিদার পরিবারের দাবি যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখেছেন।

আজ রবিবার সকালে উপজেলার কুটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সানজিদা পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামের মোরশেদ আলমের মেয়ে।

সানজিদার পিতা মোরশেদ আলম জানান, প্রায় তিন মাস হয় পারিবারিকভাবে কসবা উপজেলার কুটি গ্রামের হেবজু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম রকির সাথে সানজিদার বিয়ে হয়। গত ৭-৮ দিন আগে সানজিদার স্বামী প্রবাসে চলে যান। বিয়ের সময় তাদের কোনো চাহিদা না থাকলেও বিয়ের পর থেকে ছেলের পরিবার যৌতুকের জন্য সানজিদাকে মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। তিনি বলেন মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ছেলের মায়ের চহিদা আগামী তিন মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিবেন বলে সময় নেন। কিন্ত এই সময়টুকু তাদের সহ্য হয়নি। তারা আমার মেয়ের ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত রাখেন।

তিনি জানান, আজ সকালে সানজিদা গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তার শাশুড়ি রিনা আক্তার সানজিদার খালু (ঘটক) একই উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের ইব্রাহিম মিয়াকে জানায়। সকাল ১০টার দিকে ইব্রাহিম মিয়া তাদেরকে ফোনে তার মেয়ের মৃত্যুর খবরটি জানান। খবর পেয়ে ছুটে আসে সানজিদার পরিবার।

সানজিদার মা রুনা আক্তার বলেন, ‘আমার অন্তসত্ত্বা মেয়েটাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সানজিদা আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমি এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

সানজিদার শাশুড়ি রিনা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি যৌতুকের জন্য নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, সানজিদা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

Comment here