নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। এমন পরিস্থিতিতে আজ সোমবার বিকেল ৩টা থেকে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের তিন বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আবহাওয়ার পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিমানবন্দর।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান বিজ্ঞপ্তিতে বল হয়- আবহাওয়া পূর্বাভাসের প্রেক্ষিতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সম্ভাব্য প্রভাবের বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপকূলীয় অঞ্চলের তিনটি বিমানবন্দরের (শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম ; কক্সবাজার ও বরিশাল বিমানবন্দর) উড্ডয়ন এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে উড্ডয়ন/অবতরণ কার্যক্রম আজ সোমবার বিকেল ৩টা মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নোটাম জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনা সাপেক্ষে পরবর্তীতে উড্ডয়ন কার্যক্রম পুনরায় চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোরে এটি পটুয়াখালীর কলাপাড়া (খেপুপাড়া) দিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল পার হতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।
ঢাকা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার সকালে তিনি বলেন, ‘এটা এখনো ঘূর্ণিঝড় অবস্থায়ই আছে। এখন আমরা ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলেছি। একই সঙ্গে নৌ বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৮ নম্বর) বলা হয়, সিত্রাং আরও ঘণীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোররাত বা সকালে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এ সময় উপকূলে ৫ থেকে ৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে দেশের প্রায় সব জেলা-উপজেলাতে বেড়েছে বৃষ্টি।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৮ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
Comment here