নিজস্ব প্রতিবেদক : জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত শিনজো আবেকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিষয়টি জাতীয় সংসদে তুলে ধরেন। তখন তিনি বলেন, ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। কাল হয়ত বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে বলবে এই চিঠি সত্য নয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এ বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দেশের চলমান যে শাসন ব্যবস্থা, আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে, দুর্নীতি-লুটপাট করেছে। রাজনৈতিক নেতাদের গুম করছে, খুন করছে, প্রতিমুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, এগুলা আমরা সারা পৃথিবীকে জানিয়েছি।’
শিনজো আবেকে চিঠি দেওয়ার বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা তো বহু লোককে চিঠি দিয়েছি, বহু দেশকে চিঠি দিয়েছি। অবশ্যই দিয়েছি। এটা তো অস্বীকার করিনি।’
এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা যখনই কর্মসূচি দিচ্ছি তখন একই সময় তারা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা যে ভাষা ব্যবহার করছে সেটা সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাস করছে। একদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সন্ত্রাস আন্দোলনকে দমনের জন্য চেষ্টা করছে। এর প্রতিবাদে ৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ করবে বিএনপি।’
গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয় আসনের উপনির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গতকাল তারা যে তথাকথিত নির্বাচন করল, এই নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার তাদের হিসাব অনুযায়ী ১৫-২০ শতাংশ। আমাদের হিসাব মতে এটা ৫ শতাংশের বেশি না।’
যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক প্রমুখ।
Comment here