স্বামী জানতে পারেন স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। এরপর স্ত্রীকে চেষ্টা করেন সেপথ থেকে ফিরিয়ে আনার। আর এতেই উত্তেজিত হয়ে উঠেন স্ত্রী। এক পর্যায়ে বিষয়টি বড় আকার ধারণ করে। স্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ট হয়ে একপর্যায়ে স্বামী বেছে নেন আত্মহত্যার পথ।
বাবার এমন মৃত্যুর জন্য মাসহ পাঁচ জনকে দায়ী করেন ছেলে। পরে বাবাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন তিনি।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের মহিশুরা গ্রামে। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে বাবাকে মারপিট করে আহত করার পর আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মায়ের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন তিনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মহিশুরা গ্রামের দিনমজুর আবু সাইদ প্রায় ২৫ বছর আগে একই গ্রামের গোলেনুর খাতুনকে বিয়ে করেন। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবনে তাদের চার সন্তান রয়েছে। এ অবস্থায় গোলেনুর প্রায় এক বছর আগে পাশের গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ার জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি স্বামী আবু সাইদ জানতে পেরে স্ত্রীকে বিপথ থেকে ফেরানোর চেষ্টা করেন। আর এতেই স্বামীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন গোলেনুর।
পরকীয়ায় বিষয়টি নিয়ে গত ২৯ মার্চ রাত ৩টার দিকে নিজেদের শয়ন কক্ষে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লাগে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে গোলেনুর খাতুন তার ভাই, ভাবি, বোনের সহযোগিতায় আবু সাইদকে মারধর করেন। তাদের মারধরের পর এক পর্যায়ে আবু সাইদ উত্তেজিত হয়ে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় নিহত আবু সাইদের ছেলে নুরনবী ইসলাম বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল বগুড়া আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় গোলেনুর খাতুন, তার ভাই নজরুল ইসলাম ও ভাবি মালেকা খাতুনসহ পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আত্মহত্যার প্ররোচণায় অভিযোগে আদালতে দায়ের করা মামলাটি থানায় রেডর্কভুক্ত করা হয়েছে। এই মামলার আসাুমদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
Comment here