ফেসবুককে হুঁশিয়ারি, শেষবারের মত সতর্ক করলেন পলক - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

ফেসবুককে হুঁশিয়ারি, শেষবারের মত সতর্ক করলেন পলক

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর জন্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে দায়ী করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে সারাদেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। এজন্য ফেসবুক দায়ী।’

আজ বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আমরা ফেসবুক, এক্সসহ সবাইকে শেষ বারের মতো সর্তক করছি, সরকারের নির্দেশনা না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শিক্ষার্থীদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, ‘সারাদেশে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার উদ্বিগ্ন। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানাই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো কিছু দেখে যাচাই-বাছাই না করেই শিক্ষার্থীরা যেন কোনো সিদ্ধান্ত না নেন।’

তিনি বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে সারাদেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী।’

তৃতীয় পক্ষের উসকানিতে শিক্ষার্থীদের সহিংস পথ বেছে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, ‘আবেগের প্রকাশ যেন বিবেকের সঙ্গে করা হয়। কোটা আন্দোলনে মিথ্যা গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে সরকার পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করলেও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো কথা শুনছে না।’

তিনি বলেন, ‘ফেসবুক, টিকটক- আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, তাদের অফিসিয়ালদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, কিন্তু আপনারা জানেন যে, কেউ দুবাই থেকে অফিস করে, কেউ সিঙ্গাপুর থেকে অফিস করে। কিন্তু আমরা চাচ্ছি যে তাদের অফিসটা যদি ঢাকায় থাকতো, বাংলাদেশে থাকতো, তাদের ডেটা সেন্টারটা যদি বাংলাদেশে থাকতো, তাহলে কিন্তু যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো কনটেন্ট বা যেকোনো মিস ইনফরর্মেশন, ডিসইনফর্মেশন বা এই ধরনের গুজব সেগুলোকে কিন্তু প্রতিহত করা কিংবা সেই কনটেন্টটাকে ফ্ল্যাগ দিয়ে দেওয়া বা ব্লক করে দেওয়া সহজ হত। কিন্তু তারা শুধু বাংলাদেশ থেকে তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থটাই উদ্ধার করছে। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সামাজিক শৃঙ্খলা ধর্মীয় অনুভূতি এগুলোর ব্যাপারে কিন্তু তারা কোন ধরনেরই শ্রদ্ধাবোধ দেখাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শেষবারের মতো হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, যদি বাংলাদেশে আমাদের মানুষদের নিরাপত্তার কথা তারা বিবেচনায় না নেয় বাংলাদেশের আইন ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সামাজিক শৃঙ্খলার প্রতি নজর না দেয় তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। কারণ আমরা চাই ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স এগুলোর সৎ ব্যবহার হোক, অপব্যবহার না হোক।’

Comment here