নিজস্ব প্রতিবেদক : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় গত পাঁচ মাস ধরে পুত্রবধূকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কবিরাজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আব্দুল মোমিন (৪০) নামে স্থানীয় ওই কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় আব্দুল মোমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার তরুণীর বরাত দিয়ে দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। আট মাস আগে তার বিয়ে হয়। তারপর থেকে মেয়েটি শ্বশুরবাড়িতেই ছিল। মেয়েটির পরিবার তাদের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তিনি আর নোয়াখালী যাননি।’
আব্দুল মোমিন গ্রাম্য কবিরাজ জানিয়ে ওসি বলেন, ‘তিনি পুত্রবধূকে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন যে তার সঙ্গে একজন কামেল জ্বিন আছে। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে সেই জ্বিন খুশি হয়ে তার মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে দেবে। এরপর নানা প্রলোভন দেখিয়ে তিনি শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। বিষয়টি কাউকে জানালে মেরে ফেলবেন বলেও হুমকি দেন।’
গত পাঁচ মাস ধরে আব্দুল মোমিন মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে একা পেয়ে তাকে আবারও ধর্ষণ করেন মোমিন। পরে সন্ধ্যায় স্বামী বাড়ি ফিরলে পুরো ঘটনা জানিয়ে মেয়েটি তার এক মামার বাড়িতে আশ্রয় নেন।’
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুপচাঁচিয়া থানার এসআই শফিকুর রহমান বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার নারীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য আজ রোববার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে আব্দুল মোমিনকে আদালতে তোলা হবে।’
Comment here