নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ওয়ারী থানাধীন টিকাটুলী এলাকার আবাসিক ভবনে দাহ্য ও বিস্ফোরণযোগ্য কেমিকেল মজুদ, বন্টণ ও বিক্রয় করে আসছিল পাঁচ কেমিকেল প্রতিষ্ঠান। সেখানে টুলুইন নামের একটি ক্যামিকেল পাওয়া গেছে, যা বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যাবহৃত হয়ে থাকে। যে কোনো কারণে এগুলো বিষ্ফোরিত হলে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
আজ সোমবার ওই পাঁচ কেমিকেল প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করাসহ স্বত্তাধিকারীদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। তিনি বলেন, “বিসিআইসি-র বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় রাজধানী ওয়ারী থানাধীন টিকাটুলী এলাকার অভিসার সিনেমা হলের বিপরীত পাশে অবস্থিত ২৭ রাসেল সেন্টার ১০ তলা আবাসিক ভবনে আজ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে অভিযান চালানো হয়। পরে সেখানে দেখা যায় গাড়ি রাখার পার্কিংয়ের জায়গায় কেমিকেল মজুদ, বন্টণ ও বিক্রয় চলছে। সে সময় সেখানে সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, হাইড্রোফ্লোরিক এসিড, আইসোপ্রোফাইল ও মিথানল পাওয়া যায়।”
তিনি আরও বলেন, আইসোপ্রোফাইল ও মিথানল এ দুটি মাদক হিসেবেও ব্যাবহৃত হয়। ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনানুযায়ী তা রাখার সুযোগ নেই। এছাড়াও সেখানে টুলুইন নামের একটি কেমিকেলও পাওয়া যায়। আমাদের সঙ্গে থাকা বিসিআইসির বিশেষজ্ঞদের জানিয়েছেন, এর অনেক ব্যবহারের মধ্যে বিস্ফোরক তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। আর এসব মজুদ, বণ্টন ও বিক্রয়ের ফলে ওই ভবন ও এর আশপাশ অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ এলাকাতে পরিণত হয়েছে।
র্যাবের এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ইয়াসিন সাইনটিফিক কোম্পানির স্বত্তাধিকারী মো. আবদুস সালাম, যমুনা সাইনটিফিক কোম্পানির স্বত্তাধিকারী নূর মোহাম্মদ হাওলাদার, শাজাহান ও জসিম সাইনটিফিক যার মালিক শাহজাহান এবং জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়াও পাশের আরেকটি ভবনের মাহির ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির স্বত্তাধিকারী সাজ্জাদুল হাসান মাসুদ, মর্ডান সাইনটিফিক কোম্পানির স্বত্তাধিকারী ফারুক হোসেনকে না পাওয়ায় তত্বাবধায়ক ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Comment here