বরিশাল

বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক, কলেজের অধ্যক্ষ কারাগারে

বরিশাল প্রতিনিধি : চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, পরে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ। শেষে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম। তিনি উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের কোচনগর গ্রামের বাসিন্দা।

গতকাল বুধবার বিকেলে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে অধ্যক্ষ শহীদুল জামিন আবেদন করলে ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এহাজারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়নের ওই তরুণীকে পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম তার কলেজে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান। এতে ভুক্তভোগী তরুণী ও অধক্ষ্যের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হলে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। এর জেরে বিয়ের প্রলোভনে অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী তাকে (অধ্যক্ষ) বিয়ের জন্য চাপ দিলে শহিদুল ইসলাম টালবাহানা শুরু করেন। পরে এই ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।

 

এ মামলায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম উচ্চাদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। সেই আগাম জামিনের মেয়াদ বুধবার শেষ হলে ওইদিনই বিকেলে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

Comment here

Facebook Share