ক্রীড়া প্রতিবেদক,সিলেট থেকে : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ অধিনায়ক মাশরাফি মোর্ত্তজার প্রত্যাবর্তন হলেও আলোচনার তুঙ্গে তার অবসর। গতকাল জিম্বাবুয়ে সিরিজ সামনে রেখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মাশরাফি মোর্ত্তজা। স্বভাবতই শুরু থেকেই তার অবসর নিয়ে প্রশ্ন উঠে। কিন্তু মাশরাফি সাফ জানিয়ে দিলেন যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা বোর্ডকেই জানাবেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অবসর নিয়ে এক প্রশ্নে খেপে যান মাশরাফি। নিজের পারফর্মেন্স নিয়ে আত্মসম্মানবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলায়, সাংবাদিককে উল্টো মাশরাফি বলেন আমি কী চোর? এই সংবাদ সম্মেলন দেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেছেন তাকে কষ্ট না দিতে।
আজ রোববার বিকেলে টাইগারদের খেলা দেখতে সিলেটে এসে সাংবাদিকদের পাপন বলেন, ‘পুরো প্রেসকনফারেন্সটা দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে আপনারা ওকে বেশি খোঁচাচ্ছিলেন। এরকম একটা সময় যখন আপনাদের তার পাশে থাকা উচিৎ, সে সময় তাকে আপনারা একটি বেশি কষ্ট দিয়ে দিচ্ছেন। এই ব্যাপারে আলাপ করা উচিতই না আমাদের। ও বলে দিয়েছে কী চায়। ক্যাপ্টেন কে হবে এটা বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে, ও কখন অবসর নিবে এটা ওর ব্যাপার।’
মাশরাফির কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে পাপন বলেন, ‘যেটা বলার কথা সেটাই বলেছে। সমস্যা হচ্ছে আমি আপনাদের কাছে একটা জিনিস অনুরোধ করব, আমি সবসময় দুটো প্লেয়ারের কথা বলি, সাকিবের মতো খেলোয়াড় আমাদের রিপ্লেসমেন্টে নেই, মাশরাফি অ্যাজ এ ক্যাপ্টেন আমাদের রিপ্লেসমেন্ট নাই। মাশরাফির অবদান কোনোভাবেই খাট করার সুযোগ নেই।’
গতকাল পারফরমেন্স নিয়ে আত্মসম্মানবোধে আঘাত লাগে কী না এমন প্রশ্নে মাশরাফি বলেছিলেন, ‘আত্মসম্মানবোধ বা লজ্জা, আমি কী চুরি করি মাঠে? আমি কী চোর? খেলার সাথে লজ্জা আত্মসম্মান আমি মিলাতে পারি না। এত জায়গায় এত চুরি হচ্ছে, এত চামারি হচ্ছে তাদের লজ্জা নাই? আমি মাঠে এসে উইকেট না পেলে আমার লজ্জা লাগবে? আমি কী চোর। উইকেট আমি নাই পেতে পারি, আমার সমালোচনা আপনারা করবেন, দর্শকরা করবে, লজ্জা পাইতে হবে কেন?’
আজ বিসিবি সভাপতি আরও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কখন অবসরে যাবেন এটা এখন সিদ্ধান্ত নিবেন মাশরাফি নিজেই।
অধিনায়ক হিসেবে মাশারাফি ৮৫ খেলে ৯৮ উইকেট নিয়েছেন। সর্বোচ্চ ২৯ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছেন। ওভার প্রতি দিয়েছেন ৫.১২ রান। অধিনায়ক না থাকা অবস্থায় ১৩২ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১৬৮ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ২৬ রান দিয়ে ছয় উইকেট। ওভার প্রতি দিয়েছেন ৪.৭১ রান করে।
মাশরাফির নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সাফল্য দেখছিল একদিনের ক্রিকেটে। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পর ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। আইসিসির কোনো আসরে এটাই বাংলাদেশের সেরা অর্জন।
Comment here