বরগুনায় শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে ইলিয়াস নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ সময় শ্যালিকার তিন বছরের শিশু তাইফা ও প্রতিবেশীর ১৩ বছরের ছেলে হাফিজুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইলিয়াসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বরগুনা সদরের ৩ নম্বর ফুলঝুরি ইউনিয়নের রোডপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ইলিয়াস বরগুনা সদর কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার পর ইলিয়াসকে আটকের সঙ্গে কবির নামে আরও একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, স্বামী পরিত্যক্তা শ্যালিকার প্রতি লালসা ছিল দুলাভাই ইলিয়াসের। বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে ওই নারী তার শিশু কন্যা তাইফা ও প্রতিবেশী শিশু হাফিজুলকে নিয়ে বাড়িতে ঘুমাচ্ছিল। গভীর রাতে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে ইলিয়াস। এ সময় শ্যালিকাকে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে ওই নারী বাধা দেন। পরে শ্যালিকাকে কুপিয়ে জখম করে ইলিয়াস। তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করে পাশে থাকা দুই শিশু। তখন ইলিয়াস ওই দুই শিশুকেও কুপিয়ে জখম করলে শিশু দুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত উদ্ধার করে এবং তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত ইলিয়াসকে আটক করে। পরে ইলিয়াস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। দুই শিশুর মরদেহ মর্গে নেওয়া হয়েছে এবং আহত ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
Comment here