সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : মেয়েদের ব্যবহার করে ফুঁসলিয়ে বাসাবাড়ীতে নিয়ে আটকিয়ে চাঁদা আদায়কারী সুন্দরী ২ নারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। এসময় ফিরোজ আহম্মেদ নামনের এক যুবককে উদ্ধার করা হয়। উল্লাপাড়া থানার কয়রা খামারপাড়া গ্রামের মোঃ জমশের ফকিরের ছেলে।
এ ব্যাপারে উদ্ধার হওয়া ফিরোজ আহম্মেদ বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় ১২ জনের একটি মামলা দায়ের করেছে। গতকাল শুক্রবার তাদের শাহজাদপুর কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর পৌরসভাধীন কান্দাপাড়া মহল্লার জনৈক সন্তেষ এর ভাড়াটিয়া কনা খাতুনের বাসাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-১. সোহেল (২২), পিতা- মোঃ মাজেদ আকন্দ ওরফে মাজন, গ্রাম- গয়হাট্টা, থানা- উল্লাপাড়া, ২. মোঃ আকাশ (২৮), পিতা- মোঃ আয়নুল হক, গ্রাম- কান্দাপাড়া, ৩. মোঃ ছোবহান (৪০), পিতা- মৃত মজিবর রহমান, গ্রাম- দ্বারিয়াপুর, ৪. মোঃ আসাদুজ্জামান শ্যামল (৪০), পিতা- মোঃ আঃ মতিন, গ্রাম- শেরখালী, সর্ব থানা শাহজাদপুর, ৫. মোছাঃ রতনা খাতুন (৩০), স্বামী- মোঃ রেজাউল করিম, পিতা- মোঃ জালাল ওরফে মাজেদ আকন্দ ওরফে মাজন, সাং- কয়রা সরাতলা, থানা- উল্লাপাড়া, ৬. মোছাঃ কনা পারভীন (৩২), স্বামী- মোঃ আলহাজ, সাং- কান্দাপাড়া, থানা- শাহজাদপুর, সর্ব জেলা- সিরাজগঞ্জ।
জানা গেছে, উল্লাপাড়া থানার কয়রা খামারপাড়া গ্রামের মোঃ জমশের ফকিরের ছেলে, ফিরোজ আহম্মেদ এর উল্লাপাড়ার কয়রা বাজারে একটি ঔষধের দোকান আছে। আসামী রতনা খাতুন মাঝে-মধ্যে ওই দোকান থেকে ঔষধ নিত এবং সেই সুবাদে বাদী ফিরোর আহম্মেদের মোবাইল নম্বর নিয়ে তার সাথে মাঝে-মধ্যে কথা বলতো।
গত বৃহস্পতিবার শাহজাদপুরে অডিসি হোন্ডা শো-রুমে বাদী আসবে এ বিষয়টি রতনা খাতুন পূর্ব থেকেই জানতো। ওই দিন বাদী ফিরোজ দুপুর ১২টায় শাহজাদপুর বিসিক বাসষ্ট্যান্ডে পৌঁছালে রতনা খাতুনও শাহজাদপুরে এসেছে এবং কোর্ট চত্বরে অবস্থান করছে বলে বাদীকে দেখা করতে বলে। এ সময় রতনা খাতুন বাদীকে জানায়, এখানে একটা বাড়ীতে কাজ আছে, কাজটা শেষ করে উভয়েই একসাথে বাড়ী চলে যাবো।
রতনা খাতুনের কথা মত ফিরোজ কোর্ট চত্বরে যায় এবং আসামী রতনা খাতুন বাদীকে সঙ্গে করে নিয়ে কান্দাপাড়া মহল্লার জনৈক সন্তেষ এর ভাড়াটিয়া কনা খাতুনের ঘরের মধ্যে নিয়ে দরজা লাগিয়ে অবরোধ করে রাখে। এ সময় রতনা খাতুন ফিরোজ এর কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং টাকা না দিলে বাদীকে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হবে বলে জানায়।
এসময় রতনা খাতুনের কথায় অন্যান্য আসামীরা বাদীকে মারপিট করে এবং তার কাছে থাকা ৬৯ হাজার টাকা মূল্যের স্কিন টাচ্ মোবাইল ও নগদ ২২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আসামীরা বাদীর হাত-মুখ বেঁধে রেখে তারই মোবাইল ফোনে বড় ভাই ফজলুল হককে বিষয়টি জানায় এবং টাকা নিয়ে আসতে বলে এবং টাকা না দিলে তার ছোট ভাইকে খুন করে লাশ গুম করা হবে বলে হুমকি দেয়।
বাদীর ভাই বিষয়টি শাহজাদপুর থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান পুলিশ টিম পাঠিয়ে উপরোক্ত আসামীদের গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান জানান, এই ঘটনায় ১২ জনকে আসামীকে করে ফিরোজ আহম্মেদ বাদী হয়ে শাহজাদপুরে থানায় চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Comment here