নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধান বাংলাদেশ সরকার দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘এ বছর সীমান্ত হত্যা অনেক বেড়ে গেছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সীমান্তে একটি মৃত্যুও দেখতে চাই না। এটি গ্রহণযোগ্য নয়। এটি যে গ্রহণযোগ্য নয় সে বিষয়ে ভারতও একমত হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের মাধ্যমে সীমান্ত হত্যার বিষয়ে ভারতকে বাংলাদেশের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি বড় দ্বিপক্ষীয় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে এক হাজার ১৪৪ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।’
‘সীমান্তে মৃত্যু কমিয়ে আনা হবে, দিল্লি সবসময় এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা অব্যহত রেখেছে বিএসএফ’, যোগ করেন আবদুল মোমেন।
আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘সেদিন ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে এনে বলেছি, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অত্যন্ত উন্নত। এর মধ্যে এগুলো হবে কেন? এগুলো খুবই লজ্জাজনক। আমরা চাই, সীমান্তে যাতে একজনও প্রাণ না হারান।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠকে সীমান্ত হত্যার বিষয়টি তুলে ধরেছে বাংলাদেশ।
ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব প্রসঙ্গে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা বাহবা নিতে চাই না। আমরা বাহবা নিয়ে বলতে চাই না, ভারতের হাইকমিশনারকে ডেকে এনেছি। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। আমরা চাই, একজন বাংলাদেশি যেন প্রাণ না হারান।’
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিএসএফ’র গুলিতে অন্তত ৪৩ বাংলাদেশিকে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গত মাসেও ভারতের সীমান্তের কাছে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
Comment here