এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৪৭৫ জন, গণধর্ষণের শিকার ২০১ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৬৩ জন নারীকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২২৫ জনকে। উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ৮৪ জন নারীকে এবং উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১৩ জন নারী।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) প্রেসক্লাবে বিকেল ৪টায় বিশ্ব মানবাধিকার দিবস এবং নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রম সমন্বিতভাবে করার লক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এই মত বিনিময় সভার আয়োজন করে।
নারী ও কন্যা নির্যাতনের এই চিত্র তুলে ধরে আলোচকরা বলনে, এ চিত্র নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতি নারীর অধিকার তো দূরের কথা তাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। নারী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে সরকারের কাছে প্রশ্ন করতে চাই ধর্ষণ কেনো এমন উদ্বেগজনক সংখ্যায় হচ্ছে। আপনারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে পেশাদারি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তামত প্রদান করবেন এবং নারী-কন্যা নির্যাতন প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদরে পক্ষ থেকে বলা হয়, নারীর ধর্ষণ শুধু নারী নির্যাতনের বিষয় নয়, সমগ্র রাষ্ট্রের অর্জিত মানবিক মূল্যবোধের অপমান। যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারের সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিচারিক কার্যক্রমে ধর্ষণ মানবতার বিরোধী অপরাধ নীতি গ্রহণ করে অগ্রসর হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নারীর প্রতি যৌন হয়রানি, ধর্ষণসহ সব ধরনের নিষ্ঠুর ও সহিংস আচরণের বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তোলা, প্রতিকারের কাজ করে চলেছে।
এই মত বনিমিয় সভায় আরো বলা হয়, বাংলাদেশের নারী নির্যাতনের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় শ্রেণি, বয়স, পেশা, সামাজিক অবস্থানের তারতম্য থাকলেও সে যে নারী এটাই তার প্রধান পরিচয় এবং এ কারণে তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। চার বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধাও ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে।
Comment here