নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদে নিজেকে বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সদস্যদের তীব্র সমালোচনার মুখে এই খেতাবের কথা স্মরণ করিয়ে দেন অর্থমন্ত্রী।
সংসদে স্ব-শাসিত সংস্থার উদ্বৃত্ত টাকা সরকারি কোষাগারে নেওয়া সংক্রান্ত ‘স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থা সমুহের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান আইন-২০২০’ বিলটি পাসের বিরোধী করে এসব কথা বলেন তারা। এ সময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিলটি পাসের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাব করলে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির কয়েকজন সংসদ সদস্য এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তা জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব করেন।
বিলটি নিয়ে আলোচনার সময় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ী হলে যা হয় তাই হয়েছে। বাজেট করার সময় চিন্তা করে নাই? রাজস্ব ঘাটতি সম্পর্কে চিন্তা করে নাই? ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি। আগের বছরের চেয়ে ৪৫ ভাগ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছিল। করেছে মাত্র ৭ শতাংশ। এনবিআরের ব্যর্থতার কারণে এই বিল সমর্থন করতে পারছি না। প্রত্যাহার করার দাবি করছি।’
‘ব্যবসায়ী’ বলায় ক্ষোভ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এতক্ষণ অনেক বক্তব্য শুনলাম। এসব শুনতে ভালো লাগে নাই। উনাদের এসব শুনতেও ভালো লাগবে না। এটা সঙ্গত। একবার চিন্তা করে দেখেন, সাইফুর রহমান চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলেন। আমিও তাই। আমি সারা বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী। পারসোনাল লেভেলে কথা বলবেন, এটা ঠিক নয়। আমিও অনেক কিছু বলতে পারি। সবারই বিষয়েই আমি জানি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার নিজেদের সম্মান দিতে জানেন না। অন্যদেরও সম্মান দিতে জানেন না। কথা বলবেন ঠিক আছে। কিন্তু এভাবে আপনার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলবেন? আপনাদের সবার সম্পর্কে আমার জানা আছে। এটা ঠিক না।’
এ সময় পাশ থেকে ওই ব্যক্তিদের সম্পর্কে সরকারি দলের এমপিরা বলতে বললে, অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না না, আমি তাদের নাম বলব না। এ রকম শিক্ষা আমি নেই নাই। এ জন্য আমি বলব না।’
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পর মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমি একজন অ্যাডভোকেট। এটা বললে কী অপরাধ হবে? উনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। কিন্তু উনার মূল পরিচয় একজন ব্যবসায়ী। এটাতে আহত হওয়ার কারণ নেই। আমরা আশা করেছিলাম, সাকসেসফুল বিজনেসম্যান, অর্থনীতিতে ভালো করবেন। কত দূর ভালো করেছেন উনি চিন্তা করবেন। ব্যাংকের মালিক ডিরেক্টররা ঋণ নিয়ে বসে আছেন। এটা কি দেশ? টাকা পাঁচার হয় উনি ব্যবস্থা নেয় না। বিভিন্ন সংস্থার টাকা খরচ করছেন। আাগমী বছর ট্যাক্স না পেলে কী করবেন।’
Comment here