ইউএনবি : রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবনে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে দেশের বিদ্যমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে তিনি চিন্তিত।খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার এই চিকিৎসক বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় খালেদা জিয়া চিন্তিত। অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ থাকার কারণে যেসব দরিদ্র মানুষের আয়ের ব্যবস্থা নেই, তাদের দুর্দশার কথা চিন্তা করে তিনি উদ্বিগ্ন। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাংলাদেশ কবে মুক্তি পাবে এ নিয়ে তিনি চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন। দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়তে দেখে তিনি অনেক চিন্তিত।’
খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের আরেক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘খালেদা তার হাত ও পায়ের জয়েন্টগুলোতে ব্যথার কারণে হাঁটতে পারছেন না। ব্যথা উপশমের জন্য তাকে থেরাপি দেয়া হচ্ছে। ডায়াবেটিকের অবস্থাও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার আরও কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে যার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে তার চিকিৎসা প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রধান অসুস্থ হলেও ঘরোয়া পরিবেশে তিনি স্বস্তিবোধ করছেন। খালেদা জিয়া সংবাদপত্র ও বই পড়ে তার সময় পার করছেন।’
চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন ‘ম্যাডামের (খালেদার) স্বাস্থ্যের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে তার অসুস্থতা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।’ তিনি জানান, তারা ৭৫ বছর বয়সী বিএনপি নেত্রীকে তার ছেলের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের তত্ত্বাবধানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।
ডা. জোবাইদা লন্ডনে থেকেই তার চিকিৎসার তদারকি করছেন বলে জানান ডা. জাহিদ হোসেন। গত ২৫ মার্চ ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে ২৫ মাস কারাভোগের পর দুটি শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে কারাগার থেকে মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত দুটি হলো, দেশ ত্যাগ করা যাবে না এবং গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
Comment here