কী বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

কী বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন

মুহম্মদ আকবর : অর্ধশতাধিক কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে গতকাল বুধবার ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই ছিল তাদের প্রথম সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং এমন একটি নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাও দেশে এবারই প্রথম ঘটল। এ ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, এর মধ্য দিয়ে কি বার্তা দিল ইসি?

এদিকে ইসির এ সিদ্ধান্তকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি সরকারের দিকে ছুড়ে দিয়েছে সমালোচনার তীর। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচন বন্ধের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে; দলটির বেশ কয়েকজন নেতা ইসির সমালোচনাও করেছেন।

গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন বন্ধের ঘোষণা দেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে কমিশন। তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে, ভোট গ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কোনো একটি পক্ষ বা কোনো একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রভাবিত করতে পারছেন। ফলে, আমাদের দৃষ্টিতে মনে হয়েছে, ভোট গ্রহণ নিরপেক্ষ হচ্ছে না।’

সিইসি বলেন, ‘সকাল আটটা থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সিসিটিভিতে ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নির্বাচন কমিশনের পদস্থ কর্মকর্তারা সিইসিকে অনেক কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথা জানান।

সিইসি আরও বলেন, ‘আরপিও ৯১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ভোট নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে হতে হবে। কমিশন যদি মনে করে নির্বাচন সঠিকভাবে হচ্ছে না, তা হলে একটি কেন্দ্র বা সব কেন্দ্রে নির্বাচন বন্ধ করার দায়িত্ব কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। সেই বিধানের আলোকে আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’

অনিয়মের কারণে কয়েক দফায় ৫১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন মনে করে, ৫১ কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হয়ে গেলে বাকি যে কেন্দ্রগুলো আছে, তার ভিত্তিতে ফল মূল্যায়ন সঠিক হবে না। পরবর্তী সময়ে বিধিবিধান ও আইনকানুন পর্যালোচনা করে নির্বাচনের ব্যাপারে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান সিইসি।

নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে কেন চলে গেল? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, তা আমরা এখনো বলতে পারব না।’

যারা অনিয়ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে কি অ্যাকশন নেওয়া হবে? এমন প্রশ্নে সিইসি জানান, তারা প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েছেন; পুলিশ, জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন।

এ সময় সিইসি আরও বলেন, মানবিক আচরণের ত্রুটির কারণে এমনটা হচ্ছে। একই ধরনের প্রতীক দেওয়া গেঞ্জি পরে অনেককে ভোট দিতে দেখা গেছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এসব হচ্ছে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘এরাই ডাকাত। এরাই দুর্বৃত্ত। যারা আইন মানেন না, তাদেরই আমরা ডাকাত বলতে পারি, দুর্বৃত্ত বলতে পারি। আমাদের সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে না।’

এ ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসার ও রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেখানে আমার কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। বেলা ১০টা পর্যন্ত অনেক ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে ভোটারদের উপস্থিতি নেই। কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি থাকলেও ৩/৪ জনের বেশি লক্ষ করা যায়নি।

পরে অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে একে একে ভোটকেন্দ্র স্থগিতের ঘোষণা আসতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ভোট শুরুর চার ঘণ্টার মাথায় পাঁচ প্রার্থীর চারজনই দেন ভোট বর্জনের ঘোষণা। দুপুর দুইটা পর্যন্ত ৫১টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশন থেকে।

ইসির ঘোষণার আগেই চার প্রার্থীর ভোট বর্জন

আমাদের সময়ের গাইবান্ধা প্রতিনিধি, সাঘাটা প্রতিনিধি, ফুলছড়ি প্রতিনিধির পাঠানো খবরে বলা হয়Ñ গতকাল সকাল ৮টায় গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শুরুটা বেশ ভালোই ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে; বেড়ে যায় নানা অনিয়মও। দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় পার্টির এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু (লাঙল), বিকল্পধারা জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও স্বতন্ত্র সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক) নানা

অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী। ভোটর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর ওই চার প্রার্থী সাঘাটা উপজেলার বগারভিটা স্কুল ভোটকেন্দ্রের সামনে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় তারা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।

ভোট বর্জনকারী জাতীয় পার্টির সমর্থিত প্রার্থী ও জাপা কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু সাঘাটা উপজেলার বগারভিটা স্কুল কেন্দ্রে নৌকা প্রার্থী ছাড়া অপর ৪ প্রার্থী একত্রিত হয়ে সংবাদকর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আ.লীগ প্রাথীর বিরুদ্ধে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দেওয়া, ইভিএমএ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন তারা।

গাইবান্ধা জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহজাহান খান আবু জানান, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাকর্মীরা সিসির ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে কেন্দ্র তাদের দখলে নেয়। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রে জাতীয় পার্টির এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, প্রশাসনের গাফিলতির কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ সুযোগ নিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ঘটনার জন্য নির্বাচন কর্মকর্তারাও দায়ী বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ; ইসির সমালোচনা

নির্বাচন বন্ধে ইসির ঘোষণার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন নৌকার কর্মী সমর্থকরা। তারা দলে দলে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের সামনে রাস্তায় এসে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ফেরত আসা নির্বাচনী সরঞ্জামসহ সব ধরনের মালামাল নিয়ে আটকা পড়েন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের এ অবরোধ অব্যাহত থাকে। অবরোধ চলাকালে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু, উদাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান বাদশা, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম, উদাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহদী মাসুদ পলাশসহ অনেকে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ভোট বর্জন ছিল পূর্বপরিকল্পিত। তাদের দাবি ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র ছিল আগে থেকেই। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নৌকা প্রতীক সংবলিত গেঞ্জি গায়ে জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে ভোট বানচাল করে দেয়। সব কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাতিল করে যেসব কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে, সেসব কেন্দ্রের ভোটের ফল ঘোষণার দাবি জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভের পর ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় বোনারপাড়ায় সংবাদ সম্মেলনে রিপন বলেন, ভোট স্থগিত ঘোষণার পর সাধারণ ভোটাররা হতবাক। আমার ধারণা একটি কুচক্রিমহল পরিকল্পিতভাবে সিইসিকে বিভ্রান্তকর তথ্য দেওয়ায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হলো। তিনি সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে যেসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে তার ফল ঘোষণার দাবি জানান। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম সামশীল আরেফীন টিটু, সহসভাপতি হায়দার আলী সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হুদা দুদু, সাধারণ সম্পাদক ও বোনারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নাছিরুল আলম স্বপন, অধ্যক্ষ আফজাল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোখলেছুর রহমান, খায়রুল বাসারসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে কোনো কেন্দ্রেই নৈরাজ্য হয়নি। ইসি ঢাকায় নির্বাচন ভবনে বসে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এতগুলো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত ইসি কীভাবে নিল, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।’

‘এটি একটি রেকর্ড’

জাতীয় নির্বাচন বন্ধ এটি রেকর্ড এমনটা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বলেন, তার জানা মতে এভাবে পুরো আসনের ভোট বন্ধের ঘটনা ঘটেনি। তবে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সময় স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধের মুখে নারায়ণগঞ্জের একটি আসনের একটি উপজেলায় তারা ভোটগ্রহণ করতে পারেননি।

ইসির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সুজন

ইসির ভোটগ্রহণ বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আমাদের সময়কে বলেন, ‘নিসন্দেহে ইসির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কারণ, অতীতে কখনো এ রকম ঘটনা ঘটেনি। তারা একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছে যে, তারা চাইলে ভোটগ্রহণ স্থগিত করতে পারে, ভোটগ্রহণ বাতিল করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এখন ভবিষ্যতের নির্বাচন আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি ১১টি নির্বাচনের মধ্যে যেগুলো তত্ত্বাবধায়কের মধ্য দিয়ে হয়েছে সেগুলো গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে ২টি একতরফা হয়েছে তা মানুষের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তার মানে বর্তমান আইনি কাঠামোর মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’

জিএম কাদেরের ‘ধন্যবাদ’

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের নির্বাচন বন্ধে ইসিকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গাইবান্ধা-০৫ আসনের উপনির্বাচনে সকাল থেকেই প্রায় শতভাগ কেন্দ্রে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্টদের জোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা।’ তিনি বলেন, ‘তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়েছে, আবার ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করে ভোটারের ইচ্ছার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এ সব কারণে, ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গাাইবান্ধা-০৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছে। এজন্য আমরা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা, গাইবান্ধা-০৫ আসনে তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’

সরকার কর্তব্য পালনে ব্যর্থ : রব

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)-এর সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘এই উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে অসহযোগিতা করে সরকার সাংবিধানিক কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘একটিমাত্র উপনির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে কয়েক প্লাটুন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, আনসার সদস্য ছাড়াও ১২৮৫ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে থাকার পরও নির্বাচনে কারচুপি ফেরানো যায়নি। তা হলে ৩০০ আসনের নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার অক্ষম।’

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮ জন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত এ এইচ এম গোলাম শহীদসহ উপনির্বাচনে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ করার কথা ছিল ইভিএমের মাধ্যমে।

 

Comment here