বাসের চাপায় পিষ্ট নাদিয়া, চালক ও সহকারী রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক : রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নাদিয়া নিহত হওয়ার মামলায় ভিক্টর পরিবহনের বাসের চালক লিটন (৩৮) ও সহকারী মো. আবুল খায়েরের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূর রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরির্দশক মোহাম্মদ আল ইমরান রাজন আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

শুনানিকালে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তাই বিচারক আসামিদের কাছে জানতে চান, তাদের কিছু বলার আছে কি না?

জবাবে চালক লিটন বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকায় পরিচিত এক ড্রাইভার আরিফকে গাড়িটি চালাতে দিয়েছিলাম। পড়ে শুনি এ ঘটনা ঘটেছে। আমার কোনো দোষ নাই। এ ঘটনা শোনার পর আমি এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেই। সেখান থেকে আমাকে ধরে আনে। আমি ওই ড্রাইভারকে ধরার অনুরোধ করছি।’

চালকের সহকারী আবুল খায়ের বলেন, ‘আমাদের বাসটি দাঁড়ানো ছিল। মোটরসাইকেলের লোকটি হাত ছেড়ে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল আর মহিলাকে কী জানি দেখাচ্ছিল। হাতছাড়া থাকার কারণে মোটরসাইকেলটি পড়ে যায়। পরে আমাদের গাড়ির পেছনের চাকায় ধাক্কা লাগে।’

আসামিদের বক্তব্য শোনার পর দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুর পৌনে ১টায় প্রগতি সরণিতে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ‌্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। নাদিয়ার মৃত্যুর পর ভাটারা থানায় নিরাপদ সড়ক আইনে মামলা করা হয়।