সারাদেশ

বিশ্বে বায়ুদূষণে দ্বিতীয় ঢাকা

অনলাইন ডেস্ক :

বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা। শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাই বিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজ্যুয়ালের’ বায়ুমান সূচক (একিউআই) ইনডেক্সে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ঢাকা। মান ২৫৩, যা মাত্রার দিক থেকে খুবই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় আছে। এদিকে প্রথম অবস্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, যার মাত্রা ৩০৪, তৃতীয় অবস্থানে আছে দিল্লি, মাত্রা ২০২।

সাধারণত ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘স্বাভাবিক অবস্থা’ বলা হয়, তবে কিছু মানুষের জন্য তা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল।

বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যক’ বলে মনে করা হয়। গত সপ্তাহে বেশিরভাগ দিনই ঢাকার অবস্থান ছিল ৫ থেকে ১০-এর ঘরে। এদিকে দিল্লি ছিল প্রায়ই দিনই প্রথম স্থানে। এমনকি দূষণের কারণে গত সপ্তাহে বন্ধ ঘোষণা করা হয় দিল্লির অনেক স্কুল।

দিল্লির গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা যায়, একিউআই অনুযায়ী ৫ নভেম্বর দূষণের মাত্রা ছিল ৪০৮ একিউআই। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। গাড়ির ধোঁয়া এবং পাশের অঞ্চলগুলোতে খড় পোড়ানোর জেরে দিল্লির বাতাস আরও বিষাক্ত হয়েছে। ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাতাসে দূষণের পরিমাণ ছিল ৩৭৬ একিউআই। ৫ নভেম্বর সকালে তা পৌঁছে গেছে ৪০৮ একিউআইয়ে। যাকে দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশ বলে থাকেন বায়ু দূষণ বিশেষজ্ঞরা। এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হতে বারণও করা হয়ে থাকে।

ভারতের পরিকল্পনা অনুযায়ী, স্কুল বন্ধের পাশাপাশি দিল্লিতে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে পুরনো ইঞ্জিনের ডিজেল গাড়ির ব্যবহার। এছাড়া বৈদ্যুতিক ও সিএনজি চালিত ট্রাক ছাড়া অন্য ট্রাকের দিল্লিতে প্রবেশ করার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার এই দূষণের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। শুষ্ক মৌসুম এলেই বেড়ে যায় এই শহরের দূষণের মাত্রা। সরকারি নানা উদ্যোগের কথা বলা হলেও বাস্তবে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে এই মাত্রার পরিমাণ।

এর আগে, দেশব্যাপী বায়ুমান পরীক্ষা করে গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছিল স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র-ক্যাপস।

বিশেষজ্ঞরা জানান, সাধারণত ছয় ধরনের পদার্থ এবং গ্যাসের কারণে দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। এরমধ্যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধূলিকণা অর্থাৎ পিএম ২.৫-কে ঢাকায় দূষণের জন্য বেশি দায়ী করা হয়।ক্ষতিকর ছয় ধরনের পদার্থের মধ্যে প্রথমেই আছে পিএম (পার্টিকুলেটেড ম্যাটার) ২.৫ অথবা ২ দশমিক ৫ মাইক্রো গ্রাম সাইজের ক্ষুদ্র কণা। এরপর পিএম-১০ সবচেয়ে বেশি। বাকি চারটির মধ্যে আছে সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন, কার্বন মনোক্সাইড এবং সিসা। এই ছয় পদার্থ ও গ্যাসের ভগ্নাংশ গড় করেই বায়ুর সূচক নির্ধারণ করা হয়। সেই সূচককে বলা হয় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স।

 

Comment here

Facebook Share