ক্রীড়া প্রতিবেদক : সবধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছেন সাকিব আল হাসান। আজ মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে স্টেডিয়ামে যান তিনি। এর আগে থেকেই স্টেডিয়ামের সামনে জড়ো হয়ে সাকিবের সমর্থনে বিক্ষোভ করতে থাকে ভক্তরা। ‘নো সাকিব নো ক্রিকেট’ স্লোগানে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় তারা।
এর আগে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে সেটি প্রত্যাখ্যান করলেও আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ট্রাইব্যুনালকে না জানানোর কারণেই তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়। তবে দোষ স্বীকার করায় শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের শাস্তি স্থগিত করেছে আইসিসি। সেই শর্ত ভঙ্গ না করলে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। আইসিসির দুর্নীতি-বিরোধী কোডের তিনটি আইন লঙ্ঘন করায় সাকিবকে এই শাস্তি দেওয়া হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও সাকিব দোষ স্বীকার করায় শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের শাস্তি স্থগিত করেছে আইসিসি। সেই শর্ত ভঙ্গ না করলে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব।
সাকিবের বিরুদ্ধে যে তিন অভিযোগ প্রমাণিত
২.৪.৪ ধারা : ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ ও ২০১৮ সালে আইপিএলের সময় জুয়াড়িদের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবের কথা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (এসিইউ) কাছে জানাননি সাকিব।
২.৪.৪ ধারা : ২০১৮ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজেই তার সঙ্গে জুয়াড়িরা দ্বিতীয়বার যোগাযোগ করলেও সেটি দ্বিতীয়বার আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাছে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব।
২.৪.৪ ধারা : ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের একটি ম্যাচের আগে সাকিবকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেটিও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
Comment here