লোভাছড়ায় টাস্কফোর্সের অভিযানকালে এক ব্যক্তির জরিমানা আদায় - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সমগ্র বাংলাসিলেট

লোভাছড়ায় টাস্কফোর্সের অভিযানকালে এক ব্যক্তির জরিমানা আদায়

এম এ রহমান জীবন কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ  সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লোভাছড়া পাথর কোয়ারিতে টাস্কফোর্সের অভিযানে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১টা থেকে কোয়ারি এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বারিউল করিম খানের নেতৃত্বে এ অভিযান  চালানো হয়। অভিযানকালে সাউদগ্রামের ফারুক আহমদের বসত বাড়ীর উঠানে ২টি ফেলুডার ও একটি স্কেবেটর রাখা ছিল। এই কারনে ফারুক আহমদের ছেলে কানাইঘাট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ বাশার আহমদকে নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খানের নির্দেশে আটক করে বিকেলে তার কার্যালয়ে নিয়া আসা হয়। সেখানে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫, ধারা ৬(ঙ) এবং বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০, ধারা ৪(ছ)আইনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বারিউল করিম খান বাশার আহমদকে মামলা দায়েরের মাধ্যমে ৪ লক্ষ টাকা নগদ জরিমানা আদায় করেন। এ ছাড়াও টাস্কফোর্সের অভিযানে বিভিন্ন পাথরের গর্তে থাকা পানি সেচের কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের ২০-২৫ টি মেশিন ও লক্ষাধিক টাকার প্লাষ্টিকের পাইপ ধ্বংস করা হয়।
স্থানীয় সচেতন মহল কোয়ারিতে টাস্কফোর্সের অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন কোয়ারী এলাকায় যারা ফেলুডার, স্কেবেটর দিয়ে গর্ত করে পাথর উত্তোলন করতেছে ও মুলাগুলের একমাত্র কান্দলা কমিউনিটি ক্লিনিক ও মুলাগুল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের জমিটুকু সেইব মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গনে বিলীন করতেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়াও তারা জানান যারা ইজারার শর্ত অমান্য করে পাথর উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইজারাদারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা থাকার পরও রহস্য জনক কারনে ঝুকিঁপূর্ণ গর্তগুলো বন্ধ করা হচ্ছে না।
তবে নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান জানিয়েছেন কোয়ারিতে নিয়মিত ভাবে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা ইজারার শর্ত অমান্য করে যান্ত্রিক বাহন ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আজকের অভিযানে ফেলুডার ও স্কেবেটর রাখার অপরাধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাশার আহমদকে মামলা দায়েরের মাধ্যমে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং কয়েক লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতি ধ্বংস করা হয়েছে।

Comment here