কেমন আছেন হতদরিদ্র ৯০ বছরের বৃদ্ধা কমলা বিবি ? এর উত্তর জানতে আজ বৃহঃস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ছুটে গেলেন উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের অনুহা গ্রামে ওই বৃদ্ধার কুড়ের ঘরে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে কমলা বিবির দুঃখ দুরাস্থার খবর শুনে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ মাসুদ আলম নিজ দায়িত্ববোধ থেকে হতদরিদ্র ৯০ বছরের বৃদ্ধা কমলা বিবির খোঁজ খবর নিতে যান।
এ সময় সঙ্গে ছিলেন, হোসেনপুর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম তারেক নেওয়াজ, সাধারন সম্পাদক সঞ্জিত চন্দ্র শীল, যুবলীগ নেতা আল-মামুন, মোঃ ডালিম মিয়া, সাইফুল ইসলাম আলম প্রমূখ।
কমলা বিবির মাথায় হাত বুলিয়ে মোঃ মাসুদ আলম বলেন, আপনার যে কোনো সমস্যায় আপনি আমাকে পাশে পাবেন। আপনার ছেলে নেই, তাতে কি হয়েছে আমি আপনার আরেক ছেলে। এ সময় তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে ওই বৃদ্ধার সু-চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা ও এক বস্তা চাল বিতরণ করেন। তাছাড়া, প্রতি মাসেই ওই বৃদ্ধার পরিবারের জন্য এক বস্তা করে চাল ও আগামী ১ মাসের মধ্যে কমলা বিবির বসবাসের জন্য নিজ অর্থায়নে ১৬ হাত বারান্দাসহ একটি ঘর নির্মান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ মাসুদ আলম।
উল্লেখ্য, উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের আনুহা গ্রামের দেনু মুন্সির বাড়ির আব্দুল জব্বারের স্ত্রী কমলা বিবি দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে বিচানায় পড়ে আছেন। অর্থাভাবে করতে পাচ্ছে না সু-চিকিৎসা। ২ ছেলে ও ৩ মেয়ের জননী তিনি। স্বামী ও ছেলেরা কেউ বেঁচে নেই তার। দীর্ঘদিন ধরে এক মাত্র আশ্রয়স্থল মেয়ে রহিলা খাতুনের ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছেন তিনি। নোংরা পরিবেশের মধ্যে একটি ভাঙা চৌকিতে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুকেই নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। বৃদ্ধার মেয়ে রহিলা খাতুনও অসহায় অবলা বিধবা নারী। রহিলা খাতুনের সংসারে নেই কোন উপার্জনক্ষম লোক। নেই ছেলে সন্তান, স্বামী আবুল হাসেন সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করার পর থেকে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে মানবেতর জীবন জীবন যাপন করছেন রহিলা খাতুন।
Comment here