অপসারণ হওয়ার পর যা বললেন তুরিন আফরোজ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ঢাকাসমগ্র বাংলা

অপসারণ হওয়ার পর যা বললেন তুরিন আফরোজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : পেশাগত অসদাচরণ, শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অপসারণ হওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে তুরিনকে অপসারণ করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর গণমাধ্যমের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তুরিন আফরোজ বলেন, ‘আমাকে কোনো তদন্তের ভেতর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। আমাকে কেউ কিছু জিজ্ঞাসাও করেনি, কোনো কিছুই করা হয়নি। তো এক বছর চার-পাঁচ মাস পরে হঠাৎ করে…তদন্তে তো আত্মপক্ষ সমর্থনেরও একটি জায়গা থাকে। কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কি না, সেটিও আমি জানি না।’

ads

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এখন আমাকে লিগ্যালি দেখতে হবে। প্রসিডিংটা কী হয়েছে, আসলে কী হলো, কারণ একটি তদন্ত হওয়ার কথা ছিল, সেটিই আমি জানি। তবে আজ পর্যন্ত কোনো তদন্তের জন্য আমাকে ডাকা হয়নি।’

প্রজ্ঞাপনে পেশাগত অসদাচরণ, শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের কথা বলা হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তুরিন বলেন, ‘আমি তো আসলে জানি না, উনারা কি মিন করেছেন। এটি তো এক লাইনের লেখা। আমার জানা মতে, আমি কোনো অসদাচরণ করিনি, পেশাগত কোনো আইন ভঙ্গ করিনি। আমি আমার দায়িত্ব পালন করে গেছি।’

এই আইনজীবী বলেন, ‘যেটি নিয়ে ডিসপিউট ছিল, সে ডিসপিউটের তদন্ত হওয়ার কথা ছিল। এখন সে তদন্ত না হয়ে, আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে, যদি একপাক্ষিক একটি সিদ্ধান্ত হয় তাহলে তো আমার আইনগত অবস্থানটি আরেকবার বিবেচনা করে দেখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে কেউ কিছুই এ পর্যন্ত জানায়নি। ৯ মে থেকে আজ পর্যন্ত এক বছরে একটিবারও আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কোনোরকম এক্সপ্লেনেশন, কোনো কিছুই জানতে চাওয়া হয়নি।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের মে মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে ট্রাইব্যুনালের সব মামলার কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রভাবশালী আসামি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগে এই প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অনৈতিকভাবে আসামির সঙ্গে গোপনে বৈঠক করার অভিযোগ তদন্তের জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও করা হয়।

Comment here