নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে নিজের সকল আসবাবপত্র গুটিয়ে নিয়ে ব্যাক্তিগত অফিসে উঠেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জা। আজ সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বসুরহাট রূপালী চত্বর সংলগ্ন দলীয় কার্যলয় থেকে সকল আসবাবপত্র গাড়িতে উঠিয়ে কয়েক গজ উত্তরে আলেয়া টাওয়ারের ৩য় ও ৪র্থ তলায় এবং পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে যান তিনি।
বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘এটা কখনো দলীয় কার্যালয় ছিল না, এখানে একটি বীমা অফিস ছিল। আমি নিজ উদ্যোগে আসবাবপত্র সাজিয়ে সেখানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতাম। মাসে মাসে ঘর ভাড়াও আমি পরিশোধ করতাম। ওই ঘরের মালিক বেশ কিছুদিন ধরে ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমাকে বলে আসছিল। ঘরটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা খিজির হায়াতের ইন্ধনে ঘরের মালিক আমাকে চাপ সৃষ্টি করে। এরইমধ্যে কেন্দ্র ও নোয়াখালী জেলা আ.লীগ থেকে উপজেলায় দলের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ আসে। আমার ব্যাক্তিগত মালামালগুলো আলেয়া টাওয়ারে ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে নিয়ে এসেছি।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘অপরাজনীতির সাথে আমি নাই। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস কোথায় হবে তা আমি জানি না।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বলেন, ‘নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশে আজ সোমবার সকালে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়ন বিষয়ক সভা হওয়ার কথা ছিল দলীয় ওই কার্যালয়ে। কিন্তু মেয়র আবদুল কাদের মির্জা কার্যালয়ের সকল আসবাবপত্র নিয়ে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার কারণে সভা করা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলীয় সভা যেন আমরা করতে না পারি, সেজন্য মেয়র কাদের মির্জা দলীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়েছেন। চাঁদাও তিনি উঠাতেন, ভাড়াও তিনি পরিশোধ করতেন, দলীয় কার্যালয়ে তালাও তিনিই ঝুলিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বিগত দুই মাস ধরে দলের কেন্দ্র থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সমালোচনা করে আসছিলেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মেয়র কাদের মির্জা ও তার প্রতিপক্ষ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিক মুজাক্কির খুন হওয়ার ঘটনাসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এসব ঘটনার কারণে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা আসায় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করে দেয়।
Comment here