আজ থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাস চলাচল শুরু হচ্ছে। মাত্র ৩৫ টাকায় যাত্রীরা এ পথ পাড়ি দিতে পারবেন। শুরুতে চার জোড়া বাস দিয়ে এই কার্যক্রম চালু করছে বিআরটিসি। এই বাস রুট হবে খেজুরবাগান থেকে উত্তরার জসীমউদদীন।
আজ বেলা ১১টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে এ সেবার উদ্বোধন করা হবে। এটি উদ্বোধনের ফলে বিআরটিসি বাস ব্যবহারকারী লোকাল যাত্রীরাও এখন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
টোলের টাকা বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করলেও এর জন্য ভাড়ার অতিরিক্ত কোনো টাকা যাত্রীদের গুণতে হবে না। রুট অনুযায়ী সাধারণ ভাড়া পরিশোধ করলেই হবে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গণপরিবহণ চললে পথ পাড়ি দিতে যাত্রীদের সময় লাগবে কম। কিন্তু অসুবিধা একটাই— মাঝপথে ওঠানামা করার সুযোগ নেই। যাত্রীদের সাড়া ও সার্বিক পরিস্থিতি দেখে গণপরিবহণের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি। বিআরটিসির এই উদ্যোগে প্রথম ধাপে যুক্ত হতে যাওয়া আটটি দ্বিতল বাসই সংস্থাটির ডিপোতে প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই রুটে (নিচ দিয়ে) আমাদের অনেক গাড়ি চলত। এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটা ডিপো থেকে ৮টি বাস চলবে। তবে একটি ডিপো থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’
আপাতত এক্সপ্রেসওয়ের দুই প্রান্ত থেকে ওঠানামা করতে পারবেন যাত্রীরা। উত্তরার জসীমউদদীন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ও কাওলা থেকে দক্ষিণমুখী যাত্রীদের বাসে তুলবে বিআরটিসি। তার পরে এক টানেই ফার্মগেট।
অন্যদিকে উত্তরামুখী যাত্রীরা উঠতে পারবেন খেজুরবাগান গোলচত্বর, খামারবাড়ি কিংবা বিজয় সরণি থেকে। সে ক্ষেত্রে আগভাগে বাসে চেপে বসা যাত্রীদের কমপক্ষে দুটি ট্রাফিক সিগন্যাল পেরিয়ে উঠতে হবে এক্সপ্রেসওয়েতে।
বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়াই দিতে হবে যাত্রীদের। খেজুরবাগান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫ টাকা। আর জসীমউদদীন পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা। কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া দাঁড়াচ্ছে ২ টাকা ৪৫ পয়সা। ই-টিকিটিং ব্যবস্থা থাকায় বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগও থাকছে না।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আপাতত ভাড়ায় টোলটা যোগ হচ্ছে না। পরে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত টোল যোগ করে যে ভাড়া হবে, সে ভাড়ায় আমরা গাড়ি চালাব। যেহেতু আমরা সরকারি সংস্থা, জনগণকে সেবা দেওয়াই উদ্দেশ্য, তাই এখন বাস চালু করা। বিআরটিসি কোনো জায়গায় লাভ করবে, কোনো জায়গায় লস করবে।’
বিআরটিসির এ উদ্যোগ কম পরিসরে চালু হলেও এতে অফিসগামীদের কর্মঘণ্টা বাঁচবে। একসময় গাজীপুর থেকে নিয়মিত রুটের বাসগুলোকেও এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চালানোর পরিকল্পনা চলছে।
Comment here