ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : দেশের তিন বিভাগে চলছে পেট্রলপাম্পের ধর্মঘট। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পাম্প মালিকদের এমন সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে পড়েছে জ্বালানি তেল ব্যবহারকারীরা। ধর্মঘটের মধ্যে অনেকে পাম্পে জ্বালানি আনতে গেলেও না পেয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। এমনকি সংসদ সদস্য (এমপি) গাড়িতে জ্বালানি তেল আনতে গেলে তাকেও ফিরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে জেলা শহরের চৌধুরী ফিলিং স্টেশনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেনের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে।
রমেশ চন্দ্র সেনের ব্যক্তিগত সহকারী ও ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম স্বপন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঠাকুরগাঁও সফর শেষে রোববার সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন এমপি রমেশ চন্দ্র সেন। তাকে বহনকারী গাড়ি দুটি শহরের চৌধুরী ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি নেওয়ার জন্য গেলে জ্বালানি না দিয়েই ফিরিয়ে দেন পাম্পে কর্মরত শ্রমিকরা। এ সময় গাড়িতে বসা ছিলেন এমপি রমেশ চন্দ্র সেন।
এমপি রমেশ চন্দ্র সেন জানান, সৈয়দ পুর বিমানবন্দর যাওয়ার পথে শহরের চৌধুরী ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি নিতে গেলে তা দেয়নি পাম্পের শ্রমিকরা।
এমপির গাড়িতে জ্বালানি না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে পাম্পে কর্মরত শ্রমিক অটল রায় বলেন, ‘পেট্রল পাম্প মালিকের নির্দেশে সব ধরনের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রেখেছি আমরা। শুধু এমপি নন, কোনো গাড়িতেই জ্বালানি দিচ্ছি না।’
বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ঠাকুরগাঁওয়ের সভাপতি এনামুল হক নয়া বলেন, ‘ইতিপূর্বে সরকারের কাছে আমাদের বিভিন্ন দাবি জানিয়েছি। কিন্তু সরকার শুধু আশ্বাস দিয়েছে, বাস্তবায়ন করেনি। এবার ১৫ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট কর্মসূচি চলবে।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের ডাকা ধর্মঘটে সাড়া দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচ উপজেলার ৩২টি পাম্পের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ধর্মঘটের ফলে একদিকে যেমন বিপাকে পড়েছেন গাড়ি চালকরা অন্যদিকে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
ধর্মঘট চলমান থাকলে ঠাকুরগাঁওয়ের সঙ্গে রংপুরের যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন গাড়িচালকরা। পাশাপাশি বোরো মৌসুম ও শীতকালীন সবজি চাষের সময়ে জ্বালানি না পেলে জমিতে সেচকাজ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
Comment here