‘আমি কোন দিকে যাব’ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

‘আমি কোন দিকে যাব’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা দেখে শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবার একটি বক্তব্য অন্তর্জালে ভাইরাল হয়। যা নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন লুবাবার মা জাহেদা ইসলাম জেমি।

তিনি জানান, লুবাবা বক্তব্য নিয়ে ট্রল হচ্ছে নেটদুনিয়ায়। তার মেয়ে বর্তমানে ডিপ্রেশনে ভুগছে। আর এমনটি চলতে থাকলে লুবাবাকে মিডিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলল লুবাবা। তার বক্তব্য, ‘একটা ছোট্ট কথা যে এভাবে ছড়িয়ে যাবে, তা আমি ভাবিনি। এই ছোট্ট জিনিস নিয়ে এত ট্রল করা হচ্ছে- এটা লজ্জার ও অবাক করার বিষয়। স্কুলে বা বাইরে গেলেই শুনতে হচ্ছে “কেন্দে দিয়েছি”, “কেন্দে দিয়েছি”, এটা শুনে কষ্ট লাগে। ছোট্ট একটা ভুলের জন্য যে মানুষ এভাবে টিজ করবে- এটা ভাবিনি। কেন্দে দিয়েছি, কান্না করেছি- কথা দুটি তো একই লাগে।’

লুবাবা আরও বলে, ‘আমাকে সবাই বলে আমি পাকনা পাকনা কথা বলি। আবার বলে আমি ঠিকভাবে কথা বলতে পারি না। আমি কোন দিকে যাব। আমি যে ভুলটা করেছি, এটা যে এভাবে ভাইরাল হয়ে যাবে তা ভাবিনি। সবাই যখন টিজ করে তখন তো একটু কষ্ট লাগবেই।’

মিডিয়া ছাড়ার প্রসঙ্গে এই শিশুশিল্পীর ভাষ্য, ‘আমি চিন্তা করে দেখলাম, এমনটা ঠিক হবে না। ভারতের মানুষরা চায় একটা মানুষ এগিয়ে যাক। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষরা তা চায় না। ঘুড়ি যদি নিচে টান দেওয়া হয় তাহলে সেটি কিন্তু ওপরে চলে যায়, নিচে নামে না। আপনাকে সেই ঘুড়িটাই হতে হবে।’

‘মুজিব’ সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে লুবাবা বলে, ‘মুজিব সিনেমাটি এত ভালো করে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা কে না দেখে কাঁদবে, এটা কি হাসির ছবি? আমার যেটা ভালো লেগেছে আমি তো সেটাই বলব। যদি ছবিটা দেখে আমি কেঁদে দেই, তাহলে আমার কষ্ট লাগবে। আর আমি এটাই বোঝাতে চেয়েছি।’

ক্যারিয়ারে এমন একটা সিনেমা করতে চায়, যেটা দিয়ে সবাই তাকে এক নামে চিনবে- এমনটাই লুবাবার ইচ্ছা।

উল্লেখ্য, ‘মুজিব’ সিনেমা দেখে সংবাদকর্মী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সঙ্গে কথোপকথনের এক পর্যায়ে লুবাবা বলেন ‘কেন্দে দিয়েছি’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সেই ভিডিও’র অংশটি। তারপর থেকেই ট্রল করা হচ্ছে লুবাবাকে নিয়ে। যা এখনো চলমান।

Comment here