নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আরও একজনের মৃত্যুর হয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো চারজনে। একই সময়ে নতুন করে আরও ছয়জন করোনাভাইরাসের রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষনা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এতথ্য জানান। গতকাল মঙ্গলবার ফেসবুক লাইভে তিনি এসব তথ্য জানান।
অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ছয়জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে একজন সৌদিআরব থেকে এসেছেন। আর বাকিরা আগের আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হয়েছেন। এই পর্যন্ত দেশে করোনা শনাক্ত রোগীর
সংখ্যা ৩৯ জন। যিনি মারা গেছেন তার বয়স ৭০ বছরের বেশি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে দেশে মোট মারা গেছেন চারজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান,
গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে এসেছেন ৬২৩৫ জন। একই সময়ে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়ার পেয়েছেন ৩৭৬৩ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২৭ ২৭০৪৩ জন। বর্তমানে হাসপাতালে আইসোলেশনে আছে ৪০ জন ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৬ জন। সারা দেশে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ২৯৪টি সেন্টœ প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ্এসব প্রতিষ্ঠানে ১৬৯৪১ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাবে।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ঢাকা শহরে ১০৫০ শয্যাসহ সারা দেশে ৪৫৩৯টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে ২৯টি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত করা আছে এবয় আরও ১৬টি শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস সম্পর্কে পরামর্শ পেতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ১৫১ জন হটলাইনে ফোন করেছেন। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৬২৬৩ নম্বরে ৪২৫৭৮ জন, ৩৩৩ নম্বরে ২৮৪৩ নম্বরে এবং আইইডিসিআরের নম্বরে ২৭৩০ জন ফোন করেছেন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা ৩৩০৮ জন যাত্রীকে স্থলবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ২৮৩ জন, স্থল বন্দর দিয়ে ২৭৭৯ জন এবং নৌবন্দরের ২৪৬ জন রয়েছেন। গত ২১ জানুয়ারি থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত দেশে এসেছেন ৬৬২২৮৯ জন।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, বর্তমানে ১০ লাখ পারসোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) ক্রয় করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২ লাখ পিস পিপিই ক্রয়ের ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের চিকিৎসা প্রদানের নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৬০৪ জন। এর মধ্যে ৪৫১ জন হটলাইনে চিকিৎসা প্রদানের সাথে যুক্ত আছেন।
Comment here