‘চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি’ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
জাতীয়

‘চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বোনের মু্ক্তি চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন সেলিমা ইসলাম। ভাই শামীম ইসকন্দারসহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দৈনিক মুক্ত আওয়াজকে মুঠোফোনে নিজেই এ কথা বলেছেন সেলিমা ইসলাম।

কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন জানতে চাইলে সেলিমা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করা দরকার ছিল। তাই আমরা সাক্ষাৎ করেছি।’

কি কি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার বোন আমাদের সময়কে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, উনাকে (খালেদা জিয়া) উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যেতে চাই। ওনার দুই হাত বেঁকে গেছে। দাঁড়াতে পারেন না, হাঁটতে পারে না। পিঠে ব্যাথা, বুকে ব্যথা, তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ডায়বেটিকস নিয়ন্ত্রণে নেই। উনি মৃত্যু শয্যায়। তাকে মুক্তি দিন।’

আজ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপরসনের মু্ক্তির বিষয়ে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি জানান, দুটি শর্তে মুক্তি পাবেন খালেদা। তাকে নিজ বাসভবনে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশ গমণ করতে পারবেন না।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সেলিমা দৈনিক মুক্ত আওয়াজকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে কাজ করেছেন, এজন্য উনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।’ কবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার ছোট বোন বলেন, ‘সাক্ষাৎ করেছি বেশি দিন হয়নি। এই মার্চ মাসেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছি।’

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে সেলিমা ইসলাম আরও বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত ঠিক আছে। আমরা খুশি হয়েছি। এতদিন পরে উনি মুক্তি পাচ্ছেন। তার শরীর খুবই খারাপ। তার চিকিৎসা দরকার। আগেও বলেছি, আমি বারবার বলেছি। উনার উন্নত চিকিৎসা দরকার, বাইরে নিয়ে যেতে চাই। জামিনের দরকার। সেটাই উনারা কার্যকর করেছে। আমরা চিঠিও দিয়েছিলাম উনাদের হোম মিনিস্ট্রিতে।’

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে আগামীকাল বুধবার মুক্তি পেতে পারেন তিনবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি গুলশানে অবস্থিত নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’য় উঠবেন বলে জানা গেছে। খালেদা জিয়ার ছোটভাই গণমাধ্যমে কথা জানান।

এদিকে, দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির পর বিএনপি কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা জানাতে পারেননি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্র বিষয়টি জেনেছি। এখনো এ বিষয়ে আলোচনা করিনি। তবে আমরা তো ম্যাডামকে বিদেশে নিতে চেয়েছিলাম। এই অবস্থায় কী করা যায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।’

সরকারের নেয় সিদ্ধান্তের পর বিএনপির পরবর্তী করনীয় অনলাইন মাধ্যমে জানানো হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমে জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের কথা তুলে ধরবেন। একইসঙ্গে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পরবর্তী করণীয় কী হবে, তা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলবেন। তবে, তা প্রচার হবে অনলাইনে। বিএনপির দলীয় অফিসিয়াল ফেসবুকে তা প্রচার হবে।

Comment here