আশুরা ও পুরাণ ঢাকার বিবি রাওজা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ঢাকাসমগ্র বাংলা

আশুরা ও পুরাণ ঢাকার বিবি রাওজা

ইসহাক রহমান : মহরম মাস এর দশম দিন কে আশুরা বলা হয়। এই দিনটি শিয়া মুসলমানদের দ্বারা বেশ আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হয়ে থাকে।আশুরা উপলক্ষে শিয়া মুসলিমরা বিভিন্ন দরণের মিছিল মাতাম ও শোকানুষ্ঠান আয়োজন করে।

কিন্তু আশুরা সম্পর্কে সুন্নি সমাজ এ ভিন্ন মত আছে ।সুন্নি মতানুযায়ী ইহুদীরা মুছা আ. এর বিজয়ের স্মরণে আশুরার সওম পালন করে । পুরাণ ঢাকার ফরাশগঞ্জে এই বিবি কা রাওজা অবস্থিত । এটি ঢাকার সবচাইতে পুরানো ইমামবাড়া এবং এটি ঢাকার প্রথম ইমামবাড়া । ১৬০০ সালে জনৈক আমীর খান এটি স্থাপন করেন । ১৮৬১ সালে জনৈক পার্শি এটির সংস্কার করেন । জনাব আব্বাস আমাদের দৈনিক মুক্ত আওয়াজ এ জানান যে মহরম এর ৯ তারিখ সন্ধ্যায় এই ইমামবাড়া থেকে মিছিল বের হয় এবং ভোরে হায়দারী গাস্ত হয়।এই বিবি কা রাওজা হুস্নিদালান এর ৪২ বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়েছিল । ঢাকায় একে পাগলা গাওরা ও বলা হয় । সমবেত ভক্তরা এই তাজিয়া নিয়ে পাগলের মত দৌড়ে দৌড়ে ফরাসগন্জ হতে চকবাজার আজিমপুর হয়ে ধানমন্ডি ঈদগাঁ পুকুরে নিয়ে এসে বিসর্জন করে থাকে । ঢাকার নবাব ও হিন্দু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এতে যোগ দিত এবং আর্থিক পৃ্স্টপোষকতা দান করত।

এই বিবি কা রওজা নিয়ে ইতিহাসে অনেক কিংবদন্তি উপাখ্যান রয়েছে। একবিংশ শতকের ঢাকাবাসীর হয়তো বিশ্বাস হবে না কিন্তু নবাবী আমলেও,শুধু মুসলমান নয়, বরং সকল ধর্ম-বর্ণের ঢাকাবাসীর অন্যতম প্রধান উৎসব ছিলো আশুরা বা মহররম। ঢাকা কোনোকালেই শিয়া অধ্যুষিত শহর ছিলো না, আর মোঘলরাও শিয়া ছিলেন না ।তারা সুন্নি ছিলেন । তবে ঢাকার নায়েব নাজিমরা ছিলেন শিয়া। মূলত তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকার নানা স্থানে তৈরি হয় ইমামবাড়া ও জাঁকজমকের সাথে পালিত হতে থাকে আশুরা। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ এ সবসময় এর মত সন্দায় বিবি কা রাওজা থেকে মিছিল বের করা হবে এবং ১০ সেপ্টেম্বর এ তাজিয়া মিছিল বের করা হবে।

Comment here