নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ১৩৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা গত আড়াইমাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে এর চেয়ে বেশি নতুন রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল গত ৭ সেপ্টেম্বর। সেদিন ২ হাজার ২০২ জন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বশেষ এই পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত নতুন ২ হাজার ১৩৯ জনকে নিয়ে দেশে মোট ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত একদিনে এ ভাইরাসে আরও ২১ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৫ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গত এক দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৬০৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ১৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৭৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯৬২টি নমুনা। একদিনে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ২৬ অক্টোবর ৪ লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ৪ নভেম্বর তা ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩২তম অবস্থানে। বিশ্বে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতিমধ্যে ৫ কোটি ৪৪ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৩ লাখ ১৭ হাজারের ঘরে।
Comment here