নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের সংশোধন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রিজেন্ট হাসপাতালের অপকর্ম সরকারের মদদেই হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার ‘রাজনৈতিক লসমূহের নিবন্ধন আইন : করোনাভাইরাস বিপর্য়য়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের আবারো সংবিধান বিরোধী পদক্ষেপ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ এন্ড কমিউনিকেশনের আয়োজনে এ ভার্চুয়াল আলোচকরা নিজ নিজ বাসা থেকে এই আলোচনায় যুক্ত হন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের সংশোধনের উদ্দেশ্য একটাই- সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগকে বার বার ক্ষমতায় নিয়ে আসা, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখা। নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব পালন করছে, তারা তাদের প্রভুদেরকে ক্ষমতায় রাখার জন্য সমস্ত আইন তৈরি করছে।’
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা এবং তাদেরকে ক্ষমতায় রাখার প্রক্রিয়াটি ২০০৭ সালের এক-এগারোর সেনা সমর্থিত সরকার থেকে শুরু হয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছে এক এগারো থেকে। বিরাজনীতিকরণের একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে, রাজনৈতিকলগুলোকে একেবারে অকার্যকর করে। এখনো পরিকল্পিতভাবে সচেতনভাবে সেই কাজ চলছে। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন একইভাবে নির্বাচন কমিশনগুলো তাদের দায়িত্ব পালন করেছে সেই দায়িত্বটা ছিল যে- আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা। সংবিধান থেকে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা বাতিল করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
Comment here