ইরফান সেলিম কারাগারে, দোষ স্বীকার দেহরক্ষীর - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

ইরফান সেলিম কারাগারে, দোষ স্বীকার দেহরক্ষীর

আদালত প্রতিবেদক : নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে দুইদফা রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে ইরফানের দেহরক্ষীর জাহিদুল মোল্লা আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ বুধবার উভয় আসামিকে দুই দফায় নেওয়া পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মুবিনুল হক। তাদের মধ্যে জাহিদুল মোল্লা স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমান চৌধুরী স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেন। তারপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

অন্যদিকে ইরফান সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানিকালে আসামির পক্ষে শ্রী প্রাণ নাথ জামিনের আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

এর আগে উভয় আসামিকে গত ২৮ অক্টোবর তিনদিন এবং ১ নভেম্বর দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

উল্লেখ্য, উভয় আসামির মাদক ও অস্ত্র আইনের চার মামলায় মামলায় আগামি আগামী ৮ নভেম্বর সাত দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি দিন ধার্য আছে।

মামলা থেকে জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান স্ত্রীকে নিয়ে রাত পৌনে ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে করে কলাবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি কালো রঙের ল্যান্ড রোভার গাড়ি পেছন থেকে তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন।

তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। এর পাশাপাশি তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় পরদিন ২৬ অক্টোবর সকালে এরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন। আর অস্ত্র ও মাদকের মামলাগুলো গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় দায়ের করে র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম।

 

Comment here