ঈদ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস। চলবে ৭ মে পর্যন্ত। যাত্রী সেবায় ২৮টি বিলাসবহুল লঞ্চ ঢাকা বরিশাল বহরে যুক্ত হয়েছে।
এ বছর বিপুল সংখ্যক যাত্রীর চাপ সামাল দিতে সরকারি দুটি জাহাজ এমভি মধুমতী ও এমভি বাঙালিও যুক্ত হচ্ছে যাত্রীসেবায়।
শতাধিক লঞ্চ চলবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার শেষ নেই। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি নৌ-পথের পর্যবেক্ষকদের।
করোনার ধাক্কায় গত দুবছর ঈদের আনন্দ ম্লান হয়েছে। তবে এবার ভিন্ন চিত্র। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগিতে নাড়ির টানে গ্রামে ছুটছে মানুষ। তাদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের বিশেষ সার্ভিস শুরু হচ্ছে লঞ্চের।
ঢাকার সদর ঘাট থেকে বিশেষ এ সার্ভিস শুরু হবে সন্ধ্যায়। আরামদায়ক বলে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ যাতায়াতে নৌ-পথকেই বেছে নেয়।
ঘরমুখো মানুষকে বরণ করতে বরিশাল নদী বন্দরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। করা হয়েছে যাত্রী ছাউনির প্যান্ডেল। ঢাকা বরিশাল রুটে ২৮টি লঞ্চ চলবে আর দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিআইডব্লিউটিএ। অতিরিক্ত যাত্রীবহনে মোবাইল কোর্টে শাস্তির আওতায় আনার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের জীবন রক্ষাকারী যে সরঞ্জাম আছে, সেগুলো যথোপযুক্ত আছে কিনা, সেগুলো মেনে মাস্টাররা লঞ্চ পরিচালনা করছে কিনা সেটি নিশ্চিত করেই এবার যাত্রী পারাপার করবে।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিসির সহ-ব্যবস্থাপক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ২৭ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত নিয়মিত দুটি জাহাজ চলবে। এমভি মধুমতি ও এমভি বাঙালি নামের এ দুটি জাহাজ নিয়মিত চলবে।
যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় সচেতন মহল। লঞ্চ মালিক সমিতি বলছে, ঈদে প্রায় কোটি মানুষ এ বছর লঞ্চে যাতায়াত করবেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বরিশালের কাজী আল মামুন বলেন, সামনে কালবৈশাখি ঝড়। লাখ লাখ মানুষের সমাগমে লঞ্চের যাত্রা। ঢাকা বরিশাল ছাড়া বেশিরভাগ লঞ্চই কিন্তু ফিটনেসবিহীন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট সাঈদুর রহমান রিন্টু বলেন, সব লঞ্চ মালিকদেরই সচেতন করা হয়েছে। প্রায় ৮০ শতাংশ লঞ্চেরই সবদিক দিয়ে ফিটনেস ঠিক আছে।
এদিকে যাত্রী চাপ অনুযায়ী বরিশাল নদী বন্দরে পল্টুন মাত্র ৬টি। বিকল্প হিসেবে রকেট ঘাট প্রস্তুত রেখেছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
Comment here