সদ্যবিদায়ী মে মাসে ২২৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১৭ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। আগের মাস এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৪ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ।
আর গত বছরের একই সময়ে (মে ২০২৩) রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।
আজ রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে মে মাসে। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। সাধারণত দুই ঈদের আগে পরিবার-স্বজনদের কাছে বাড়তি অর্থ পাঠান প্রবাসীরা।
এদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৯ মে পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১২৬ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯২৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৯৯ কোটি ডলার।
এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।
উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
Comment here