ঈদের আনন্দের মতো লাগছে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সাক্ষাৎকার

ঈদের আনন্দের মতো লাগছে

জাহিদ ভূঁইয়া : বলিউড সিনেমা ‘পেরেশান পারিন্দা’ দিয়ে বড়পর্দায় যাত্রা শুরু সাদিয়া নাবিলার। ঢাকাই চলচ্চিত্রে তার অভিষেক হয় ‘মিশন এক্সট্রিম’-এর মাধ্যমে। গত ১৩ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমার সিক্যুয়াল ‘ব্ল্যাক ওয়ার’। মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- জাহিদ ভূঁইয়া

২০১২ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় থেকে বাস করছেন। সেখান থেকে ‘মিশন এক্সট্রিম’-এ যুক্ত হলেন কীভাবে?

অস্ট্রেলিয়ায় ‘মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ডওয়াইড ২০১৭’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম রানারআপ হই। সেটার কল্যাণেই পরের বছর সুযোগ হয় বলিউডে কাজ করার। দেবেশ প্রতাপ সিং পরিচালিত ‘পেরেশান পারিন্দা’ নামের সেই সিনেমা দেখে সানী সানোয়ার (মিশন এক্সট্রিম ছবির পরিচালক) ভাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওনার সঙ্গে সিনেমা নিয়ে আলোচনা হয়। এর পর ভার্চুয়ালি একটা অডিশন দিই। তিনি আমাকে ইরা চরিত্রের জন্য পছন্দ করেন এবং আমি বাংলাদেশে আসি শুটিং করতে।

‘মিশন এক্সট্রিম’ ও ‘ব্ল্যাক ওয়ার’Ñ একসঙ্গে দুটি সিনেমায় শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক সিনেমাগুলোয় একটার সঙ্গে অন্যটার কানেকশন থাকে। যে জন্য কিছু কিছু দৃশ্যের শুটিং একসঙ্গে করে নিতে হয়। কিন্তু আমরা দুটি সিনেমার পুরো শুটিংই একসঙ্গে করেছি। এটা আমার জন্য ভিন্ন এক ধরনের অভিজ্ঞতা ছিল।

প্রথম পর্ব মুক্তির সময়ে দেশে ছিলেন না। এবার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের সঙ্গে সিনেমা উপভোগ করছেন, কাছ থেকে তাদের প্রতিক্রিয়া জানার সুযোগ পাচ্ছেন। ভালো লাগছে নিশ্চয়ই?

২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘মিশন এক্সট্রিম’। ওই সময়টাতে আমি অস্ট্রেলিয়ায় ছিলাম। অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও করোনার কারণে বাংলাদেশে আসার সুযোগ পাইনি। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার সেই কষ্ট ভুলে গেছি। বিভিন্ন মিডিয়া হাউসগুলোয় গিয়ে ইন্টারভিউ দিচ্ছি, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দর্শকের সঙ্গে বসে সিনেমা দেখছি, অনেকে ছবি দেখার পর প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন, পরিচিত অনেক মানুষের সঙ্গেও দেখা হচ্ছেÑ সবমিলিয়ে ঈদের আনন্দের মতো লাগছে।

এবারের পর্বে আপনার অভিনীত চরিত্রের ব্যাপ্তি আগেরটির চেয়ে অনেক বেশি। এই বিষয়টি কেমন লাগছে?

‘মিশন এক্সট্রিম’-এ আমার চরিত্রের ব্যাপ্তি ছিল ১০ পার্সেন্ট। আর ‘ব্ল্যাক ওয়ার’-এ সেটার ব্যাপ্তি ৯০ পার্সেন্ট। অপেক্ষায় ছিলাম, এই ছবিতে আমার অভিনীত ‘ইরা’ চরিত্রটিকে বড় পরিসরে দেখে দর্শক কেমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সিনেমা মুক্তির পর মনে হচ্ছে, অপেক্ষার ফল মধুর হয়েছে। আমি আসলে কল্পনাই করিনি, দর্শক এতটা পজিটিভভাবে ইরাকে গ্রহণ করবেন। সবার কাছে কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি।

‘ব্ল্যাক ওয়ার’ দিয়ে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সমাপ্তি হলো। পুরো টিমকে মিস করবেন না?

সিনেমার সাফল্যে যতটা ভালো লাগছে, এই প্রশ্নটা যখন মাথায় আসে, ঠিক ততটাই কষ্ট কাজ করে নিজের ভেতরে। ‘মিশন এক্সট্রিম’ থেকে ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ পুরো জার্নিটাতে আমরা সবাই একটা পরিবার হয়ে কাজ করেছি। নির্মাতা সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ, সহশিল্পী আরিফিন শুভ, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীসহ গোটা টিমের সঙ্গে আমার বন্ডিং অন্যরকম ছিল। ভবিষ্যতে হয়তো তাদের অনেকের সঙ্গে কাজ হবে, কিন্তু এই টিমটাকে সব সময় মিস করব।

নতুন কোনো সিনেমায় চুক্তি করেছেন কি?

অনেকগুলো প্রস্তাব আছে হাতে। তবে এখনো কাউকে ‘হ্যাঁ’ বলিনি। আমি আসলে একটু সময় নিয়ে কাজ করতে চাই। কারণ আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, কোয়ান্টিটি না বাড়িয়ে কোয়ালিটির দিকে নজর দেওয়া অনেক বেশি শ্রেয়।

অভিনয়ে এসে পরিবারের কেমন সাপোর্ট পান?

আমার পরিবারের কেউই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত নন। তার পরও সবাই সংস্কৃতিপ্রেমী। খালামণিরা হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গাইতেন। ছোটবেলা থেকে আমিও নাচ-গান করতাম। বাচ্চাকালেই মা-বাবা নাচ ও গানের একাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দেন, সে হিসেবে বলতে পারিÑ তাদের আগ্রহ এবং উৎসাহে আমি বড় হয়েছি। মা-বাবা ভীষণ উদারমনা। তাদের সাপোর্ট না থাকলে আমি বর্তমানে এই অবস্থানে থাকতাম না।

অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছেন কবে?

সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এই মাসটা যে বাংলাদেশে আছি, সেটা নিশ্চিত।

 

Comment here