ঈদের ছুটিতে ঘরে ফেরার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে যাত্রীরা। আজ সোমবার থেকে ঘরমুখী মানুষের ভিড় আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন লঞ্চে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। নদীপথে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে পটুয়াখালী নদীবন্দরে অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঢাকার সঙ্গে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম লঞ্চ। পটুয়াখালী নদীবন্দর সূত্র জানায়, ঢাকা-পটুয়াখালী নদীপথে মোট নয়টি দ্বিতল লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। লঞ্চগুলো রোটেশন পদ্ধতিতে পাঁচ থেকে ছয়টি করে আসা-যাওয়া করে। প্রতিবছরই ঈদের সময় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। তবে এবার নয় দিনের লম্বা ছুটিতে যাত্রীর চাপ বাড়বে।
ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের ব্যাপক চাপ থাকায় অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতকাল রোববার ভোররাতে পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বড় চারটি দ্বিতল লঞ্চ ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে পটুয়াখালী এসেছে। লঞ্চগুলো হচ্ছে প্রিন্স আব আওলাদ-৭, সুন্দরবন-৯, জামাল-৫ ও ছত্তার খান-১।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা আগেভাগেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন।
পটুয়াখালী লঞ্চঘাটের ইজারাদার মো. ফারুক বলেন, আজ থেকে যাত্রীর চাপ বাড়বে। সকাল থেকে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন যাত্রীরা। ঈদের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি লঞ্চ পটুয়াখালী আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পটুয়াখালী নদীবন্দরের উপপরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান বলেন, ‘এখন ঢাকা থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়বে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ঈদে ঘরমুখী মানুষ আসতে শুরু করেছে। আমরা যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, কমবে দুর্ভোগ। এ ছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ থেকে আনসার ও রোভার স্কাউট নিয়োজিত থাকবে। বিশেষ করে পটুয়াখালী নদীবন্দরে যাত্রীদের সেবার মান নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লঞ্চ এবং বাসের যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, সে জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশি টহলের পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
Comment here