"উদ্দীপ্ত-১১ তে বসন্তের ছোঁয়া" - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
শিক্ষাঙ্গন

“উদ্দীপ্ত-১১ তে বসন্তের ছোঁয়া”

অনিক রহমান: ঋতুরাজ বসন্ত প্রকৃতিতে এসেছে। প্রকৃতি তার দখিনা বাতাসের দরজা খুলে দিয়েছে। সাথে এসেছে একরাশ আনন্দ, উৎসব, আমেজ। অন্তত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একঝাক শিক্ষার্থীদের এই “বসন্তোৎসব” এতটুকু জানান দেয়।

আজ ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। অর্থাৎ, বাংলা মাস হিসেব করলে বসন্তের আগমন ঘটেছে দিন চারেক আগে। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের একঝাক শিক্ষার্থীদের এই উৎসবে ছিল ভিন্নতা। তারা মনে করেন ঋতুরাজ বসন্তকে ফাল্গুনের প্রথম দিনেই বরণ করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তাদের মতে, বসন্ত কে আপন করে নিয়ে তার উৎসব করাটাই আসল, সেটি হতে পারে যেকোন সময়ে। তাইতো তাদের এই ভিন্নধর্মী আয়োজন।
আজ বলছি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের “উদ্দীপ্ত-১১” ব্যাচের কথা। যাদের পরিকল্পনার হাত ধরেই এই উৎসবের আয়োজন।
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই চিরচেনা সেই ক্যাম্পাসে হাজির তারা। সাজালেন তাদের প্রাণপ্রিয় বিভাগের ক্লাশরুমকে। হরেক রকমের ফুলের ছড়াছড়িতে শশব্যস্ত হয়ে উঠলো সবকিছু। যেন ফুলের মনমাতানো গন্ধে বসন্ত আজ জানান দিচ্ছে, “আমি এসে গেছি”।
সবদিকেই বাসন্তী রঙের শাড়ি আর পাঞ্জাবির ছড়াছড়ি।কবিগুরু আজ জীবিত থাকলে বর্ণীল পোশাকের এই মনোমুগ্ধতায় মুগ্ধ হয়ে, হয়ত কিছু লিখতেন। একে একে শেষ হলো সাজানোর উৎসব।
চারদিকের হৈ-হুল্লোড়, গান, ছবি তোলার রেশ সবকিছুই যেন বসন্তের আমেজ ছড়াচ্ছিল। কখনো দেখা যাচ্ছে বন্ধু-বান্ধবীরা একত্রে বসে গান গাইছে, কখনোবা উঠছে সেলফি তোলার ধুম। কেউ কেউ আবার মনোযোগ দিচ্ছিলেন অনুষ্ঠান আয়োজনে। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে অনেকে আবার হৃদয়ের অনুভূতি জানান। সব মিলিয়ে এ যেন এক এলাহি কান্ড। তাই বটে, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তারা বসন্ত উৎসব পালন করবে না তো কখন করবে।
আফরিদা সরদার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ” একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের মধ্যে রয়েছে বিশ্বমানের মন এবং প্রাণের জোয়ার। সেই জোয়ারে উচ্ছ্বাসিত হয়েই আমরা এই উৎসব আয়োজন করি। ” আবার সামিউর রহমান সাজ্জাদের মতে, ” বসন্তকে আপন করে নেওয়ার অনন্য পন্থা এটি। বসন্ত যেমন আমাদের প্রকৃতি কে সজীব করে তোলে, প্রকৃতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করে তেমনি আমাদের মধ্যেও আনে সজীবতা ও চঞ্চলতা। সেই চাঞ্চল্যেই উজ্জীবিত হয়ে আমরা এটি পালন করে থাকি।”
শীতকাল আমাদের প্রকৃতিকে রেখে যায় মুমূর্ষু অবস্থায়। তাতে নতুনতা আনে বসন্ত। গাছে গাছে নতুন পাতার আগমনে যেকোন পাষাণ মনও নরম হতে বাধ্য। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এরুপ আয়োজন বসন্তে যোগ করে দিয়েছে নতুন মাত্রা। দিনশেষে তাদের এই উৎসব স্মৃতির পাতায় অমর হয়ে থাকবে। এজন্যই হয়ত তাদের প্রতিপাদ্য ছিল, ” বসন্ত বাতাসে, মন মাতুক উৎসবে। “

Comment here