একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি-ধর্ষণচেষ্টা, শিক্ষক গ্রেপ্তার - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি-ধর্ষণচেষ্টা, শিক্ষক গ্রেপ্তার

ভালুকা প্রতিনিধি : একাধিক ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে হাবিবুর রহমান নামে (৪০) এক সহকারী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। তিনি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ডাকাতিয়া ইউনিয়নের বড়চালা নছিরন নহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানায় এক ছাত্রীর (১১) মা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলা, পুলিশ ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক হাবিবুর রহমান রহমান ওই স্কুলে যোগদান করার পর থেকে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি ছাত্রীদের স্কুল ছুটি হওয়ার পর বিভিন্ন সময় সিড়ির কোণার রুমে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানী  করে আসছিলেন। তিনি একেক দিন একেক ছাত্রীদের সঙ্গে এ কাণ্ড করে আসছিলেন। পরবর্তীতে এক ছাত্রী স্কুলে না আসার কারণ তার পরিবারকে জানায়।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জানায়, অনেক ছাত্রীকে সিড়ির কোণার ঘরে নিয়ে ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। ঘটনাটি ওই ছাত্রীরা তাদের অভিভাবকে জানালে তাৎক্ষনিক তারা বিষয়টি স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে জানায়। পরবর্তীতে ওই স্কুলের সভাপতি বাদী হয়ে বিষয়টি লিখিত আকারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর জানান। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, এলাকার ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের নিয়ে তদন্ত করার পরে বিষয়টির সত্যতা পায় ।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর মা পারভিন আক্তার দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রায়ই স্কুলে যেতে চাইত না। অন্য স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য আমাকে বলত। বিষয়টি আমি বুঝতে পারতাম না এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আমি বুঝতে পারছি মেয়ে কী কারণে স্কুলে যেতে চাইত না।’

স্কুলের মানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই শিক্ষক আরও অনেক আগে থেকেই এসব কুকর্ম করত। তাকে আরও দুটি স্কুল থেকে এ জন্যই বদলি করা হয়েছে বলে আমরা পরে জানতে পারি। ওই শিক্ষক আমার স্কুলে আসার পর ছাত্রীদের স্কুলে আসা অনেকটা কমে গেছে। আমি এই শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।’

এ বিষয়ে ভালুকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্ত করার পর ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তবে আবেদনে যতটুকু ছিল তা পায়নি।’

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করি। তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

ওই শিক্ষককে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

Comment here