কলারোয়া প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় এক পরিবারের চারজনকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়না খাতুন নামে এক নারী বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এটি তদন্ত করবে সিআইডি।
কলারোয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, ময়না খাতুন হত্যাকাণ্ডের শিকার সাবিনা খাতুনের মা। এবং তার ছেলে সিয়াম হোসেন মাহি (৯) ও মেয়ে তাসনিমের (৬) নানি।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারান পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে হত্যার শিকার হ্যাচারি মালিক শাহিনুর রহমানের (৪০) শাশুড়ি ময়না খাতুন বাদি হয়ে কোনো নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলাটি তদন্ত করবে সিআইডি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসি গ্রাম থেকে খলসি গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে হ্যাচারি মালিক শাহিনুর রহমান, তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে সিয়াম হোসেন মাহি ও মেয়ে তাসনিমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শাহিনুর রহমান ছোট ভাই রায়হানুল ইসলাম জানান, বাড়িতে মা ও বড় ভাইয়ের পরিবারের চারজনসহ তারা ছয়জন থাকতনে। মা কাল আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। তিনি (রায়হানুল) ছিলেন পাশের ঘরে। ভোরে পাশের ঘর থেকে তিনি বাচ্চাদরে গোঙানির (আওয়াজ) শব্দ শুনতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে দেখেন ঘরের বাইরে থেকে আটকানো। দরজা খুলে দেখা যায় বীভৎস দৃশ্য। এর কিছুক্ষণ পর বাচ্চারাও মারা যায়।
জায়গা-জমি নিয়ে পাশের কিছু ব্যক্তির সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। তবে কারা এ ঘটনা ঘটালো তা বুঝতে পারছেন না বলে জানান রায়হানুল ইসলাম।
কলারোয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল জানিয়েছিলেন, নিহতদের ঘরের চিলেকোঠার দরজা খোলা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ছাদের চিলেকোঠার দরজা দিয়ে হত্যাকারীরা ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে এ ঘটনাটি ঘটনায়।
Comment here