নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় দুই সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতাল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন, দেশ রূপান্তরের ফটো সাংবাদিক রুবেল রশীদ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের আলোকচিত্রী জয়িতা রায়। হাসপাতালের গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা তাদের ওপর এ হামলা চালান।
হাসপাতাল চত্বরে করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে লাইনে দাঁড়ানো এক রোগীকে মারধরের ছবি তুলতে গেলে হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারী আনসার সদস্যরা রুবেল রশীদের ক্যামেরার লেন্সের ফিল্টার ভেঙে ফেলেন।
হামলার শিকার রুবেল রশীদ বলেন, ‘হাসপাতালে কোভিড-১৯ টেস্টের জন্য আজ ৪০ জনকে টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু ৩৪ জনের পরীক্ষা করেই আনসার সদস্যরা বলেন, আজ পরীক্ষা শেষ। তখন ৩৬ নম্বর সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা শাওন হোসেন নামের এক যুবকের সঙ্গে আনসার সদস্যদের তর্কাতর্কি হয়।’
ভুক্তভোগী রুবেল বলেন, ‘একপর্যায়ে আনসাররা তার গায়ে হাত তোলেন। এ ঘটনার ছবি তুলতে যান বাংলাদেশ প্রতিদিনের আলোকচিত্রী জয়িতা রায়। এ সময় আনসার সদস্যরা তাকে থাপ্পড় দিতে এলে জয়িতা সরে পড়েন। এরপর ঘটনার ছবি তুলতে আমি এগিয়ে যাই। তখন আনসার সদস্যরা থাপ্পড় মেরে আমার ক্যামেরার ফিল্টার ভেঙে ফেলে।’
রুবেল রশীদ আরও বলেন, ‘এ সময় আনসার সদস্যরা সাংবাদিকদের গালাগাল করতে থাকেন এবং বেঁধে রাখার হুমকি দেন। একপর্যায়ে তারা বলেন, এখানে সাংবাদিকদের রংবাজি চলবে না। শুধু আমাদের রংবাজি চলবে।’
এই বিষয়ে জানতে মুগদা হাসপাতালের পরিচালক ডা. রওশন আনোয়ারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা দৈনিক মুক্ত আওয়াজ অনলাইনকে বলেন, ‘মুগদা হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সাথে আনসার সদস্যদের ঝামেলা হয়েছে। সেখানে ছবি তোলার সময় সাংবাদিকের ওপরে হামলা করা হয়েছে বলে সংবাদ পেয়ে থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকের ওপরে হামলা বা ক্যামেরা ভাঙচুরের বিষয়ে কেউ এখনো থানায় কোনো অভিযোগ করতে আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Comment here