প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছেন, পাটকল শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা হবে - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছেন, পাটকল শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাটকল শ্রমিকদের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি বলেছেন, ‘তাদের প্রত্যেককে ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা হবে। এতে ভাবনার কিছু নেই।’

আজ  শুক্রবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন করে বললেন, শ্রমিকরা তো আমাদেরই লোক, এদেরকে ঠকানো যাবে না। প্রধানমন্ত্রী পাটকে ভালোবাসেন। এই পাট আবার এগিয়ে যাবে। তাই এই শ্রমিক ভাইদের আমরা কোনোভাবেই ঠকাবো না। তাদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে পাটমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সরকারি টাকা। মাঝখানে কেউ নেই। এখানে কোনো দালাল নেই। টাকা শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি চলে যাবে। শ্রমিকরা কী পাচ্ছে আর পাচ্ছে না, সেটা আপনারা নিজেরাই জানতে পারবেন। শ্রমিকদের যা পাওনা রয়েছে, আমরা সেটা অর্ধেক নগদ টাকা ও অর্ধেক সঞ্চয়পত্র আকারে পরিশোধ করব। এতে করে তাদের সঞ্চয়ও হবে। সঞ্চয়পত্র থেকে তিন মাস পর পর মুনাফা পাবেন তারা।’

পুরনো টেকনোলজি দিয়ে মাসের পর মাস পাটের কারখানা টিকতে পারবে না জানিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যখন কথা হলো, তখন তিনি বললেন, “এই শ্রমিক ভাইয়েরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আন্দোলন করেছে। ১ লাখ শ্রমিক যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে।” শ্রমিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মায়া আছে। শ্রমিক ভাইয়েরা সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তাদের আত্মত্যাগের কথা আমরা ভুলিনি।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ এই শ্রমিকদের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে যেখানে এই শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়েছেন, সেখানে ভাবনার কিছু নেই। আমি আবারও বলছি, প্রধানমন্ত্রী যখন শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়েছেন, সুতরাং এখানে ভাববার বিষয় নেই। প্রধানমন্ত্রী যখন দায়িত্ব নিয়েছেন, শ্রমিকরা ভালো থাকবেন, শান্তিতে থাকবেন; এটা আমার বিশ্বাস। শ্রমিকদের পাওনা নিয়ে অনেকেই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিলেন। তবে এখন আর কোনো দ্বিধা নেই।’

কীভাবে পরিশোধ করা হবে শ্রমিকদের মজুরি

*মজুরি কমিশন-২০১৫ অনুযায়ী পাটকল শ্রমিকদের এ বছরের জুন মাসের মজুরি আগামী সপ্তাহে তাদের ব্যাংক হিসাবে পরিশোধ করা হবে। অর্থাৎ জুলাই-আগস্টের ৬০ দিনের মজুরিও দুই মাসে যথারীতি পরিশোধ করা হবে।

*পিএফ, গ্র্যাচুইটি ও গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধাসহ অবশিষ্ট সব পাওনার ৫০ শতাংশ শ্রমিকদের নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এবং বাকি ৫০ শতাংশ নিজ নিজ নামে সঞ্চয়পত্র আকারে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।

*সব ক্ষেত্রেই মজুরি কমিশন-২০১৫-এর ভিত্তিতেই পাওনা হিসাব করা হবে। পিপিপি’র আওতায় পাটকলগুলো আবার চালু হলে সেখানে পুরনো শ্রমিকদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য ব্যাংক হিসাব নম্বর অবিলম্বে বিজেএমসিকে জানাতেও অনুরোধ করেছে  বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী

Comment here