নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘নির্যাতনে’ যুবক নিহতের ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে পালাতে সহায়তাকারীদের শনাক্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। আজ সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার এআইজি সোহেল রানা এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর রাতে নগরীর আখালিয়া নেহারিপাড়ার রায়হান আহমদকে (৩২) বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর টাকার জন্য তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তার হাতের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে এবং হাত-পায়ে আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে। পরদিন সকালে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হান মারা যান।
ঘটনার পরপরই সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) গঠিত তদন্ত কমিটি রায়হানকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে নির্যাতনের প্রমাণ পায়। এএসআই আশেক এলাহী তাকে ধরে ফাঁড়িতে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরের নেতৃত্বে নির্যাতন চালানো হয়। এ সময় কনস্টেবল তৌহিদের মুঠোফোন থেকে রায়হান বাসায় ফোন করেন। তাকে বাঁচাতে দ্রুত ১০ হাজার টাকা নিয়ে চাচা হাবিবুল্লাহকে ফাঁড়িতে যেতে বলেন তিনি।
এ ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন এসআই আকবর। তিনি যেন কোনোভাবেই দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন সেজন্য দেশের সব ইমিগ্রেশনে চিঠি পাঠিয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
Comment here