আদালত প্রতিবেদক :ময়মনসিংহের নান্দাইলের ওষুধ ব্যবসায়ী মাজহারুল ইসলাম পল্টন হত্যা মামলায় ১০ জনের ফাঁসির দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় সাতজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বিচারক তাদের বেকসুর খালাস দেন। রায়ের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- একলাছ উদ্দিন ওরফে জুয়েল, আবুল কাশেম ওরফে বাচ্চু মেম্বার, কবির মিয়া, আবুল কাশেম, বাদল মিয়া, ফারুক মিয়া, রুমা আক্তার, আবুল কালাম আজাদ ওরফে পিনু ডাক্তার, চন্দন, শুক্কুর আলী ওরফে আশ্রাফ আলী। এদের মধ্যে ফারুক মিয়া ও রুমা আক্তার পলাতক।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আফতাব উদ্দিন ওরফে আক্রাম আলী, বদরুল আলম ওরফে বদরুল, ইসমাইল হোসেন, কাজল মিয়া, রফিক, আবু সিদ্দিক ও দুলাল। এদের মধ্যে রফিক পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা জানান, আসামিদের মধ্যে রুমা আক্তার ও ফারুক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। রায়ের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে আসামিরা ভিকটিম পল্টনকে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার শিয়ালধরা বাজারে তার ভাড়া করা ওষুধের দোকানে মাথা ও কপালে মারাত্মক আঘাত করে তাকে খুন করে। দোকানের ভিতরে বাঁশের খুটির সঙ্গে মরদেহ গামছা দিয়ে বেঁধে রেখে দোকানে তালা দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় পল্টনের বোন বিউটি আক্তার ওই বছর ১ মার্চ নান্দাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকালে আসামি ফারুক ও রুমা দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন।
মামলাটি তদন্তের পর ২০০৮ সালেল ৩১ জানুয়ারি ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন। চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর জব্বর মোহরী নামে এক আসামি মারা যায়।
এরপর আদালত জব্বর মোহরীকে অব্যাহতি দিয়ে ১৭ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে ট্রাইব্যুনাল চার্জশিটভূক্ত ৩০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
Comment here